আলজাজিরা জানিয়েছে, বিমান হামলার পর অনেক মানুষ ভবনের নিচে চাপা পড়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা। শুধুমাত্র খালি হাত ব্যবহার করেই ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সেখানে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা।
জাবালিয়া গাজার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলোর মধ্যে একটি। সংঘাত শুরুর হওয়ার পর এই শিবিরে অসংখ্য হামলা চালানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শুক্রবার সকালের হামলায় অনেকেই নিহত ও ডজন খানেক আহত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকশ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
গত মাসে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই শরণার্থী শিবিরগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। চলতি মাসের শুরুর দিকে টানা তিন দিন জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায় ইসরাইলি বিমানবাহিনী। ওই হামলায় শিবিরের বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়।
এতে ১৯৫ জন নিহত ও ১২০ জন নিখোঁজ ছিল বলে জানিয়েছিল ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত ১৪ নভেম্বর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ওইদিন অন্তত ৩১ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও বহু ফিলিস্তিনি।
একইদিন বিমান হামলা চালানো হয়েছে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও। সেখানে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া খান ইউনিসের বনি সুহাইলায় একটি বাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ছোঁড়া বোমায় আরও চারজন নিহত হয়েছে।