আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের বুরেজ শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলার পর প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বলেও জানানো হয়েছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে গাজার শরণার্থী শিবিরে তৃতীয় দফায় হামলার ঘটনা ঘটল। খবর আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বুরেজ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গাজা সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার এই শিবিরে আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হলে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে বহুলোক আটকে থাকার কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি আলজাজিরাকে বলেছেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার বসেছিলাম, হঠাৎ আমরা বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। আমাদের চারপাশে সবকিছু যেন উড়ছিল। আমরা ধুলো আর ধোঁয়া ছাড়া কিছুই দেখতে পাইনি। ব্যাপক হামলা হয়েছে, এক সেকেন্ডের মধ্যেই যেন পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে।’
ধ্বংসস্তূপের দিকে ইশারা করে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার বাড়ি ছিল। এখন তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি কী বলব জানি না। আমরা অসহায়।’
আলজাজিরা বলছে, বুরেজ ক্যাম্পটি তুলনামূলকভাবে ছোট শরণার্থী শিবির, যা গাজা উপত্যকার মাঝখানে অবস্থিত। ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর নিবন্ধিত প্রায় ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থীর আবাসস্থল হচ্ছে এই শিবির।
মূলত গত বেশ কয়েক দিন ধরে ইসরাইল গাজার অভ্যন্তরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে অসংখ্য হামলা চালিয়েছে। সেগুলো আবার প্রায়শই এমন সব এলাকায় যা অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ কিছু এলাকা বলে পরিচিত।
ইসরাইল বলেছে, সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করছে তারা। যদিও ইসরাইলের হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলের নির্বিচার বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং গাজার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
কিউএনবি/আয়শা/০৩ নভেম্বর ২০২৩,/দুপুর ১:১২