শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন

বাবা-মায়ের ভুলে সন্তান জেদি হয়, যা করবেন…

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০৭ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : ছোটরা ভুল করবে, শিখবে। তাদের বেড়ে ওঠার পথটা সুন্দর করাই বড়দের দায়িত্ব। কিন্তু অনেক বাবা-মা রয়েছেন, যারা শিশুর কোনো ভুল দেখলে আগে বকা দেন। এতে ছোট শিশুটির মনের ওপর পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।

সন্তান লালন-পালন করা সহজ কাজ নয়। তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে কখনও কখনও কঠোর হতে হয়। আবার কখনও ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করতে হয়। তবে কর্মব্যস্ত এই জীবনে বেশির ভাগ বাবা-মা ছোটখাট যেকোনো বিষয় নিয়েই সন্তানের ওপর রেগে চিৎকার করেন কিংবা বকাবকি করে বসেন।

ফলে আপনি যতই ভালোবাসুন না কেন আপনার চিৎকার, চেঁচামেচি ও বকাবকি শিশুর মনে রাগ ও জেদের সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার নিজের ভুলগুলো মেনে নেওয়া জরুরি। না হলে যত দিন যাবে, শিশু আরও রাগী ও জেদি হয়ে উঠবে। আর আপনার শাসনেও কাজ হবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেই অভ্যাসগুলোতে পরিবর্তন আনা জরুরি।  

চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার কোন কোন ভুলে শিশু আরও জেদি হয়ে ওঠে আর কীভাবে করবেন তার সমাধান-

শিশু নির্যাতন
আপনি যদি সন্তানের সঙ্গে নম্র গলায় কথা না বলে সব সময় বকাবকি বা চিৎকার করে কথা বলেন, তাহলে সন্তানও আপনার ব্যবহার অনুকরণ করার চেষ্টা করবে। একই সঙ্গে আপনার রাগ ও ক্ষোভ শিশু মনেও রাগের জন্ম দেয়।

এভাবেই ধীরে ধীরে শিশু অবাধ্য ও জেদি হয়ে ওঠে। মনে রাখবেন, আপনি যদি সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে সন্তানও আপনার কাছ থেকে ইতিবাচক আচরণ শিখবে।

মেজাজ শৃঙ্খলা
আপনার সন্তান যদি রাগান্বিত হয়, তবে কিছুক্ষণ পরেই তাকে শৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে। আপনি যদি তাকে খারাপ মেজাজে কিছু শেখান তবে সে আরও বেশি বিরক্ত হবে।  

এছাড়া মনে রাখবেন, আপনি যদি রাগান্বিত হন তবে প্রথমে শান্ত হন ও পরে তাকে শৃঙ্খলার জ্ঞান দিন।

একঘেয়েমি
আপনি যদি সারাদিন শিশুর সামনে একই বিষয় নিয়ে কথা বলেন, তাহলে সে বিরক্ত হয়ে যাবে ও আরও জেদি হয়ে উঠবে। তাই একই বিষয় নিয়ে শিশুকে বারবার জেরা করবেন না, তাহলে তাদের মেজাজ নষ্ট হতে পারে।

বাড়ির পরিবেশ
যদি আপনার বাড়িতে নেতিবাচক পরিবেশ থাকে ও সারাক্ষণ মারামারি, ঝগড়া বা উত্তেজনা দেখা দেয়, তাহলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব শিশুর ওপরও পড়ে।

এ ধরনের শিশুরা ঘরের বাইরেও রাগ করে থাকে এমনকি মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারে।

বাবা-মায়ের আচরণ
যদি বাবা-মায়েরা একে অপরের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলেন ও শিশুদের সামনে একে অপরের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করেন তাহলে শিশুর ব্যক্তিত্বেও ভালো প্রভাব পড়ে।

যখন কোনো অভিভাবক তাদের সন্তানদের একে অপরের সঙ্গে তুলনা করে, তখন সন্তানের মনে রাগ-ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

নেতিবাচক কথা বলা
আপনি যদি সব সময় সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাহলে শিশুর মনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে শিশুও সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

তাই, শিশুর সঠিক ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে, প্রথমে শিশুটির মন বুঝতে হবে। তার বয়স ও ধারণ করার সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে বোঝাতে হবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৪:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit