ডেস্ক নিউজ : বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে (বিএফসিসি) অনিয়মের মাধ্যমে গরু এবং খাসির মাংস সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে মেসার্স খান ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
ওই স্থাপনাটি গাজীপুরের ১৪৯/৫ নম্বর মারিয়ালি রোডে অবস্থিত। এর মালিকের নাম গোলাম সারোয়ার কাঞ্চন। প্রায় দুই বছর ধরেই এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মেসার্স খান ব্রাদার্স। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সূত্র জানায়, মেসার্স খান ব্রাদার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণার মাধ্যমে মাংস সরবরাহের কার্যাদেশ নিয়েছে। ময়মনসিংহের ঠিকানায় মাংস কাটিং না করে গাজীপুরে করেন।
গাজীপুর মারিয়ালি রোডের ১৪৯/৫ নম্বর বাড়ির পেছেনে একটি টিনশেট গরুর খামার আছে। সেখানে মাংস কাটিং করে ডিপ ফ্রিজে ফ্রোজেন করেন। পরে হজরত শাহজালাল (র.) বিমানবন্দরের কোল্ড রুমে রাখেন। সেখান থেকেই বিমানে সরবরাহ করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
সূত্র আরও জানায়, নিয়ম অনুযায়ী কোনো পণ্য প্যাকেটজাত করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। জবাইকৃত মাংস প্যাকেট করতে হলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘হালাল’ অনুমোদন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘হালাল’ সার্টিফিকেট, ISO এবং HACCP সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
এসব অনুমোদনপত্র বা সার্টিফিকেটেও ময়মনসিংহের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত অর্থে গাজীপুরের বাজার ও অন্যান্য বাজার থেকে মাংস সরবরাহ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কসাইয়ের মাধ্যমে কাটিং করে এই প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে খান ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলিম খান যুগান্তরকে বলেন, গাজীপুরে কোনো মাংস প্রসেসিং প্লান্ট নেই। বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে মাংস সরবরাহের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমি কোনো ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেইনি। ময়মনসিংহের ত্রিশালে আমার প্লান্ট রয়েছে। সেখান থেকেই মাংস প্রসেসিং করে বিমানে সরবরাহ করি।
এদিকে যুগান্তর প্রতিনিধি গাজীপুরের ঠিকানায় গিয়ে বেশ কিছু ডিপ ফ্রিজ এবং প্যাকেট করা মাংস পেয়েছে. প্যাকেটগুলোতে ময়মনসিংহের ঠিকানা দেওয়া ছিল।
জানতে চাইলে বিএফসিসি ম্যানেজার মঈনুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, দরপত্রের সব শর্ত মেনেই মেসার্স খান ব্রাদার্স আবেদন করেছে। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই প্রতিষ্ঠানটি কাজ পেয়েছে। কাগজপত্র অনুযায়ী সেখান থেকে ওই প্রতিষ্ঠানটি মাংস প্রসেসিং করে। সেখানে আমাদের একটি টিম গিয়েছিল। সেখানে একটি মাংস প্রসেসিং প্লান্ট রয়েছে। সেখান থেকেই মাংস প্রসেসিং করে আমাদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। তার পরও যেহেতু অভিযোগ এসেছে, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। প্রতিষ্ঠানটি যদি গাজীপুর থেকে মাংস সরবরাহ করে থাকে তাহলে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/রাত ১১:৫০