মনিরুল ইসলাম মনি,শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে আধিপত্ত বিস্তার ও শ্রমিকদের নেয্য পাওনার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের দু-গ্রুপের সংঘর্ষে ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু সহ ৭ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় বেনাপোল স্থল বন্দরের ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে। আহতদেরকে উপস্থিত শ্রমিকেরা উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাপলে ভর্তি করেছে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন বেনাপোল স্থল বন্দরের ৯২৫ এর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ (৫২), শ্রমিক হাসেম আলী (৪৫), গোলাম হোসেন (৫২), আতাউর রহমান বেল্টু (৪০), আতাউর রহমান বেল্টুর ছোট ভাই রাজু (৩০)সহ আরও ৪/৫জন।বেনাপোল স্থল বন্দরের এ সংঘর্ষে তাৎক্ষনিক শ্রমিকদের একটি অংশের কর্ম বিরতীতে বন্দরের সাধারন কর্ম ও পন্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। বন্দওে আবারো সংঘর্ষেও আশংকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা ও বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, ৯২৫ এর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় হঠাৎ করে শ্রমিক সদস্য আতাউর রহমান বেল্টু, তার ছোট ভাই রাজু, শ্রমিক আবুল কালাম, শামসীম, স¤্রাট, সাইদ, জুয়েল, সেলিমসহ ১৫/২০ জন ঐক্য বদ্ধ হয়ে ইউনিয়নের অফিসে হামলা করে। এ সময় সাধারন শ্রমিকেরা বেল্টু ও তার ছোট ভাই রাজুকে গন ধোলাই দেয়। সভাপিত রাজু আহম্মেদ আরও বলেন ইউনিয়নে দায়িত্ব থাকা সময়ে বেল্টুর বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম, দূর্নীতি, শেড থেকে পন্য চুরির অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ২০২২ সারের ২৮ মার্চ ইউনিয়ন অফিসে বোমা হামলার অভিযোগ রয়েছে বেল্টুর বিরুদ্ধে।অপরদিকে আহত আতাউর রহমান বেল্টু বলেন গত ৫/৬ বছর ধরে রাজু ৯২৫এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
বেল্টু বলেন রবিবার সকালে ইউনিয়ন অফিসে আরও শ্রমিকদের নিয়ে হত ৫/৬ বছরের হিসাব চাইতে গেলে তাদের উপর হামলা করে মারপিট করা হয়। বেল্টু আরও বলেন ইউনিয়নের হিসাব মতে সভাপতি রাজু আহম্মেদ এর কাছে ৩৬ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা রয়েছে যার কোন হিসাব দিচ্ছেনা। বেল্টু আরও বলেন বেনাপোলের একজন যুবলীগ নেতা ও শার্শার এক জনপ্রতিনিধির মদদে চলছে রাজু আহম্মেদ। যে কারনে সে সাধারন শ্রমিকদের তোয়াক্কা না করে শ্রমিকদের পাওনা টাকার হিসাব আটকে রেখেছে।এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন জানান, সোমবার সকালে শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এখন বেনাপোল বন্দর এলাকায় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। বন্দরের নিরাপত্তা নিশিশ্চত করতে অতিরিক্ত পুলিশ বন্দও এলাকায় টহল দিচ্ছে। তিনি বলেন বন্দরের সাধারন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।