ডেস্ক নিউজ : বড় বড় বিদেশি নেতারা যদি আমাদের বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা তুলে নাও, এটি আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ইন্দোনেশিয়া সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কোনও চাপ মনে করি না। আমরা মনে করি এখানে তথ্যগত ঘাটতি আছে। বড় বড় নেতাদের হয়তো কেউ বলেছে, বাংলাদেশ এ রকম নামিদামি লোককে হয়রানি করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো তারা বিবৃতি দিয়েছে। এখানে বোধহয় তথ্যের ঘাটতি আছে, অজ্ঞতার কারণ আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে মনে হয় মনে করছেন—রাজনৈতিক কারণে কিংবা অন্য কোনও কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যতদূর জানি, মামলাগুলো সরকার করেনি।’তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে যে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে, তারা মনে হয় জানেন না। তারা হয়তো ভাবছেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা আশা করবো যে যারা চিঠি লিখেছেন—তারা বিষয়টা আরও জানবেন এবং তারা যদি জানতে চান, তাহলে আমরা অবশ্যই তথ্যগুলো পৌঁছে দেবো।’
তিনি জানান, আমরা স্ব-উদ্যোগে এর ওপর কোনও মন্তব্য করবো না। এগুলো আইনি বিষয়। আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না। মন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সম্মান করি একজন বিখ্যাত নোবেল লরিয়েট হিসেবে। তিনি আমাদের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছেন।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর প্রেক্ষাপটে একযোগে ১৮০ জন বিশ্বনেতা তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ‘খোলা চিঠি’ দিয়েছেন। যাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বারাক ওবামা, শিরিন এবাদি, আল গোর, তাওয়াক্কুল কারমান, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা ও হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ অগাস্ট ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:০৮