ডেস্ক নিউজ : গাজীপুরের শ্রীপুরে ছোট্ট এক মুদির দোকানে এক মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১২৯ টাকা। আজগুবি এ বিল হাতে পেয়ে মুদি দোকানি সুরুজ সরকার প্রায় জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েন।
জানা যায়, এমন ভুতুড়ে বিলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি জুলাই (জুন – জুলাই) মাসের বিলে এ ঘটনা ঘটেছে। পৌর সভার মার্কাজ মসজিদ সংলগ্ন ফারুক মার্কেটের সুরুজ সরকারের মুদি দোকান, যেখানে কেবল ৩ টি এলইডি লাইট ও একটি ফ্যান চালানো হয়।
তবে, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে এটি সওফটওয়্যার জটিলতাও হতে পারে। বিলটি দেখে বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত বলা যাবে।
ভুক্তভোগী সুরুজ সরকার জানান, মিটারটি ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি – ২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের আওতাভুক্ত। এ বিলে ৫ জুন থেকে চলতি ৭ জুলাই পর্যন্ত ব্যবহৃত হয় মোট ২০ ইউনিট বিদ্যুৎ। প্রতি ইউনিট ১১ টাকা ৯৩ পয়সা হিসেবে বিল হওয়ার কথা ২৩৯ টাকা। অন্যান্য চার্জসহ বিলের কপির একটি অংশে বিল লেখা আছে ৩১৪ টাকা। কপির অন্য এক অংশে মোট বিল লেখা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১২৯ টাকা। অন্য অংশে বিলম্ব মাশুলসহ মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৯ টাকা উল্লেখ আছে।
তিনি বলেন, অস্বাভাবিক বিল হাতে পেয়ে প্রায় জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছি। এ ভুতুড়ে বিলের টাকা কি করে পরিশোধ করব সেই দুশ্চিন্তায় আছি।
তিনি আরও বলেন, আমার দোকানে ২০ ওয়াটের ৩ টি এলইডি লাইট ও সর্বোচ্চ ৭০ ওয়াটের একটি ফ্যান চালানো হয়। গেল এপ্রিল মাসে ২২৪ টাকা, মে মাসে ৫৫৩ টাকা ও জুন মাসে ৪৮৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) রফিক আজাদ জানান, অতিরিক্ত বিল ওই মিটারের হিসাব নম্বরের না । এটি গ্রাহকের নিজের অথবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মিটারের বকেয়া বিল হতে পারে। নতুবা সওফটওয়্যারে কোনো ত্রুটি হতে পারে। তবে বিলের কাগজ হাতে পেলে তা দেখে বিশ্লেষণ করে আরও বিস্তারিত বলা যাবে। তিনি বলেন ওই গ্রাহক প্রাপ্ত বিলের কপিটি অফিসে নিয়ে এলে এটি দেখে সমস্যা বুঝে সমাধান করা হবে।
কিউএনবি/অনিমা/৩০ জুলাই ২০২৩,/রাত ১১:২০