স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে এবার দাখিল পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। তিনটি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা শতভাগ অকৃতকার্য(ফেল) হয়েছে। অপরদিকে ৬৯ টি মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন এক হাজার ৩০৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে মাত্র ৯ জন। দাখিল পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যস্থ হওয়ায় শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, মনিরামপুর উপজেলায় মাদ্রাসা রয়েছে মোট ৬৯ টি। এবার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল দুইটি। এর মধ্যে মনিরামপুর কেন্দ্রে ৩০ টি মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন ৫৯৯ জন এবং রাজগঞ্জ কেন্দ্রে ৩৯ টি মাদ্রাসার ৭০৭ জন পরীক্ষার্থী। ২৮ জুলাই দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবার পর জানাযায়, মনিরামপুর উপজেলায় তিনটি মাদ্রাসার কোন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হতে পারেনি।এর মধ্যে শমসেরবাগ দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন ১০ জন, হায়াতপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন এবং দিঘীরপাড় মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২ জন।
অন্যদিকে ৬৯ টি মাদ্রাসার একহাজার ৩০৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ৬০৯ জন। অন্যদিকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে মাত্র ৯ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে লাউড়ী-রামনগর কামিল মাদ্রাসার একজন, বাহিরঘরিয়া আলিম মাদ্রাসার একজন, ঢাকুরিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার একজন, মশ্বিমনগর দাখিল মাদ্রাসার একজন, রাজগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার একজন, গরীবপুর দাখিল মাদ্রাসার একজন, খেদাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার একজন এবং নেঙ্গুড়াহাট ফাজিল মাদ্রাসার দুইজন জিপিএ-৫ অর্জন করে।
অন্যদিকে ইত্যা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় মাত্র চারজন। আবার শ্যামকুড় জমজমিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয় মাত্র একজন, রাজগঞ্জ মোবারকপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসার ১২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে দুইজন, নেহালপুর দাখিল মাদ্রসার ২০ জনের মধ্যে তিনজন, মদনপুর দাখিল মাদ্রাসার ১৪ জনের মধ্যে তিনজন, পাতন দাখিল মাদ্রসার ২৪ জনের ছয়জন কৃতকার্য হয়। তবে কোন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য না হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে শমসেরবাগ দাখিল মাদ্রাসার সুপার লিয়াকত আলী জানান, গতবছর ১০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই কৃতকার্য হয়েছিল।
অন্যদিকে কোন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য না হওয়ার ব্যাপারে হায়াতপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরান জানান, অকৃতকার্যের কারন উদঘাটন করতে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, তিনটি মাদ্রাসার শতভাত পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হবার ব্যাপারে তদন্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হতে পারে।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ জুলাই ২০২৩,/রাত ৮:২৪