ডেস্ক নিউজ : মহররম ও আশুরাকেন্দ্রিক ভিত্তিহীন বিভিন্ন ঘটনা আমাদের সমাজে প্রচলিত। এগুলো থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। এ রকম একটি বানোয়াট-ভিত্তিহীন বর্ণনা হলো-‘বার চান্দের ঘটনা ও আমল’ শিরোনামের একটি বইয়ে লেখা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি মহররমের প্রথম দশ দিন রোজা রাখে, সে দশ হাজার বছর যাবৎ দিনে রোজা ও রাতে ইবাদতের নেকি পাবে।’
এটি একটি বানোয়াট বর্ণনা। কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে তা পাওয়া যায় না। এ বর্ণনার ‘দশ দিন রোজা রাখা এবং দশ হাজার বছরের নেকি’ সম্ভবত এ বাংলা বইয়ের সংকলকের পক্ষ থেকে বানানো কথা। কারণ, জাল হাদিসবিষয়ক কিতাবে মহররম ও আশুরাকেন্দ্রিক যে বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে রয়েছে ‘নয় দিন রোজা’র কথা। জালকারীরা সম্ভবত জিলহজের নয় দিন রোজা রাখার বর্ণনার সঙ্গে মিল রেখে এটা বানিয়েছে। কিন্তু বাংলা পুস্তিকার এ লেখক নিজে থেকে ‘দশে দশ’ আবিষ্কার করেছে।
জাল হাদিসের কিতাবে মহররম ও আশুরাকেন্দ্রিক যে জাল বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো ‘যে ব্যক্তি মহররমের প্রথম নয় দিন রোজা রাখবে আল্লাহতায়ালা তার জন্য শূন্যে এক মাইল দৈর্ঘ্য-প্রস্থের একটি ‘কুব্বা’ (গম্বুজ সাদৃশ্য প্রাসাদ) প্রস্তুত করবেন, যার চারটি ফটক থাকবে।’
ইবনুল জাওযি (রহ.) তার জাল হাদিসবিষয়ক কিতাব ‘আলমাউযূআত’-এ বর্ণনাটি উল্লেখ করার পর বলেন, এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে জালকৃত একটি বর্ণনা। এতে মুসা আততাবীল নামক একজন জাল বর্ণনাকারী রয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২১ জুলাই ২০২৩,/দুপুর ২:০৮