আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে হোটেলের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় হোটেলের মালিক গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডোমার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভুগি হোটেল মালিক মনোয়ার হোসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ২নং কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের বোর্ড বাজার এলাকায়। থানা অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ কেতকীবাড়ী খালপাড়া এলাকার আব্দুর রউফ এর ছেলে মনোয়ার হোসেন (৩২)। তিনি বোড বাজার এলাকায় তহশীল অফিস সংলগ্ন হোটেল ব্যবসা করেন। তার হোটেলে বিভিন্ন সময় লাবু হাসান তার সহযোগীদের নিয়ে চা নাস্তা খেয়ে এবং হোটেলের অন্যান্ন মালামাল বাঁকিতে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এতে লাবু হাসানের কাছে পাওনা টাকার পরিমান দ্বাড়ায় সাড়ে সাত হাজার টাকা।
সেই পাওনা টাকা লাবুর কাছে চাইতে গেলে সে বিভিন্ন সময় আজ কাল করে টালবাহানা করতে থাকে। ঘটনার দিন ০৩/০৫/২৩ইং তারিখ সকাল ১০টায় মনোয়ারের দোকানের সামনে লাবুসহ তার সহযোগীরা এলে মনোয়ার লাবুর কাছে তার দোকানের পাওনাকৃত টাকা চাইতে গেলে লাবু মনোয়ারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। ঘটনার জের ধরে একইদিন সন্ধ্যায় বোর্ড বাজার আব্দুল মালেকের পান সুপারির দোকানের সামনে মনোয়ারকে দেখতে পেয়ে আবারো গালিগালাজ করতে থাকে। মনোয়ার তার প্রতিবাদ করলে লাবুসহ তার সহযোগী আব্দুল হাকিম এবং লিজু ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে মনোয়ার কে সন্ত্রাসীরা বেধরক মারপিট করে।
এক পর্যায়ে মনোয়ারের পরিহিত গেঞ্জির পকেটে থাকা ব্যবসার ২৮ হাজার টাকা জোরপূর্বক বের কওে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সস্ত্রাসীদের আঘাতে মনোয়ার মাটিতে পড়ে গেলে বাজারের লোকজন গুরুত্বর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে মনোয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মুল হোতা লাবু কেতকীবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়ীত্ব পালন করছে। ছাত্রলীগের দাপট খাটিয়ে লাবু হাসান ও তার সহযোগীরা প্রায় সময় এ ধরণের কর্মকান্ড চালায় বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে লাবুসহ আরও ২ জনের নাম উল্লেখ করে ডোমার থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হুসেন আলী এবং সাবু ইসলাম বলেন, মনোয়ার লাবুর কাছে সাড়ে সাত হাজার টাকা পায়, সেই টাকা চাইতে গেলে লাবু মনোয়ারকে মারধর করে। আব্দুল মজিদ জানায়, আমার দোকানে মনোয়ার ভাই আসছিল, কিছুক্ষণ পর দেখি মনোয়ার ভাইকে মারধর শুরু করেছে লাবু এবং লাবুর সাথে আরও তিনজন ছিল, আহত অবস্থায় আমার উদ্ধার করি।
এবিষয়ে মুঠোফোনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাঃ সম্পাঃ লাবু হাসানের সাথে কথা হলে তিনি মনোয়ারকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মনোয়ার আমার দোকানে হামলা করে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে ধরেছে, তাই আমি তাকে ধরে ১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করি। মনোয়ারের দোকানের পাওনা সাড়ে সাত হাজার টাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এবিষয়ে ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন-নবী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিউএনবি/অনিমা/০৫ মে ২০২৩,/দুপুর ২:০৮