স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : পরিবারে একটু সুখের আশায় দুই শিশু সন্তানের জনক হোসাইন(২৮) ধারদেনা করে মাত্র তিনদিন আগে ইঞ্জিনচালিত একটি ভ্যান কেনেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে যশোরের মনিরামপুর পৌরশহর থেকে ভাড়ায় তরিতরকারি বোঝাই করে হোসাইন সুন্দলপুর বাজারে নামিয়ে দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পিছন থেকে একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে সে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে। এসময় মাইক্রোবাসটি তার মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে মাথা পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভ্যানচালক হোসাইনের।
পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত হোসাইন পৌরশহরের বিজয়রামপুর এলাকার জামশেদ আলী কবিরাজের ছেলে।নিহতের স্ত্রী শারমিন খাতুন স্বামীর মরদেহ আকড়ে ধরে শোকে প্রলাপ করছিলেন আর বলছিলেন সংসারে একটু সুখের আশায় ধারদেনা করে মাত্র তিনদিন আগে ইঞ্জিনভ্যানটি কেনেন স্বামী হোসাইন। কিন্তু তিনদিন যেতে না যেতেই ঘাতক মাইক্রোবাসটি তার স্বামীর জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিল। এখন দুই শিশু সন্তানকে কিভাবে মানুষ করবেন তা নিয়ে বার বার প্রলাপ করছিলেন শারমিন খাতুন।
বিজয়রামপুর এলাকার প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ জানান, হোসাইন শুক্রবার দুপুর একটার দিকে সুন্দলপুর বাজারে তরিতরকারি নামিয়ে দিয়ে খালি ভ্যান চালিয়ে বাড়িতে আসছিলেন। পথিমধ্যে দ্রিপ্র ব্রিকসের সামনে পৌছলে পিছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দেয়। এসময় সে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে। তখন মাইক্রোবাসটি মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ফলে মাথা পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই হোসাইনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, দূর্ঘটনার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ না করায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মরদেহটি দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তাস্তর করা হয়।
কিউএনবি/অনিমা/১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:১৫