স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে প্রচন্ড কুয়াশার মধ্যে ট্রাক এবং যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে। মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা বিধান চন্দ্র রায় নামে এক আইনজীবী নিহত এবং ৫ জন গুরুতর জখম হয়। অপরদিকে বিকেলে কোদলাপাড়া জামতলা মোড়ে মোটরসাইকেলের মাথে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয় কলেজ ছাত্র ফয়সাল হোসেন রনি।এ সময় আহত হয় ইজিবাইক চালকসহ চারজন। নিহত আইনজীবী বিধান চন্দ্র রায় হলেন বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দপুর গ্রামের মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে। আর কলেজ ছাত্র নিহত রনি উপজেলার বাগডোব গ্রামের নুরুন্নবির ছেলে। সে মাতৃভাষা করেজের দ্¦িতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার সকালের দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার এমএন জোয়ার্দ্দার ও তার পরিবারের চারসদস্য এবং আইনজীবী বিধান চন্দ্র রায়কে সাথে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে একটি মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে ঝিনাইদহ জজ আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রচন্ড কুয়াশার মধ্যে আসার পথে সকাল নয়টার দিকে মনিরামপুরের ফকিররাস্তার বাজারের পাশে ছাতিয়ানতলা মোড়ে পৌছলে বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের সামনের অংশ ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে। নিহত হয় আইনজীবী বিধান চন্দ্র রায় এবং গুরুতর জখম হয় এমএন জোয়ার্দ্দার, জলি জোয়ার্দ্দার, হোসনেয়ারা বেগম, শওকত আরা ও মাইক্রো চালক লিটন হোসেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্মা ডা. তন্দয় বিশ্বাস।
অপরদিকে খেদাপাড়া ফাড়ির ইনচার্জ এসআই সোমেন বিশ্বাষ জানান, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাগডোব গ্রামের নুরুন্নবির ছেলে মাতৃভাষা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল হোসেন রনি মোটারসাইকেলে করে খেদাপাড়া বাজারের যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কোদলাপাড়া জামতলা মোড়ের সন্নিকটে পৌছলে বিপরীত থেকে আসা যাত্রীবাহী ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল হোসেন রনি, ইজিবাইক চালক মাখনসহ আহত পাঁচজন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকৎসকরা ফয়সাল হোসেন রনিকের মৃত ঘোষনা করেন। বাকীদের ভর্তি করা হয়। কোন থেকে কোতায়ালী থানা পুলিশ রনির মরদেহ উদ্ধার করে।
এ দিকে মনিরামপুর থানার পরিদর্শক(তদন্ত) গাজী মাহাবুবুর রহমান জানান, ছাতিয়ানতলায় দূর্ঘটনার পর পরই মরদেহ এবং ক্ষতিগ্রস্থ মাইক্রোবাস ও ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। অন্যদিকে কোদলাপাড়ায় দূর্ঘটনার পর ইজিবাইক ও মোটারসাইকেলটি উদ্ধারের পর খেদাপাড়া ফাড়িতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:৪১