শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ন

নওগাঁ সড়ক ভবন বাগানে শোভা পাচ্ছে শতাধিক ফুল গাছ

সজিব হোসেন নওগাঁ প্রতিনিধি । 
  • Update Time : রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৯৪ Time View

সজিব হোসেন নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ফুলের শোভা পাচ্ছে। ভবনের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সময় চোখে পড়বে বিভিন্ন রঙ্গের বড় বড় গাঁদা ফুল থোকায় থোকায় ফুটে আছে। পাশেই সুন্দর অবকাঠামোর মাঝে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন দেশী, বিদেশী ফুল ও ওষুধী গাছের ভেষজ মিশ্র ফুল বাগান। শুধু ফুল বাগানের সৃজন নয় পুরো সড়ক ভবনের প্রাঙ্গন ফিরে পেয়েছে ছিমছাম সৌন্দর্য্যরে ছোঁয়া আর আবাসিক ভবনের বাহিরের অংশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার প্রিয় দেশের পতাকার রঙ্গের আদলে মনকাড়া ছোঁয়াও রয়েছে। বাগানের মাঝে শোভা পাচ্ছে ডোরাকাটা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিকৃতি আর পুরো বাগানজুড়ে ফুল গাছের পাশাপাশি নানা রকমের শোভাবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছও শোভা পাচ্ছে।

মনোরম বাগানে প্রবেশ করতেই দ্যামাস্ক গোলাপ, রংগন, জবা, ক্রিসমাস বেরিসহ বিভিন্ন ফুল গাছের পাশে শোভা পাচ্ছে সুন্দর সুন্দর নাম ফলক। একবার বাগানে প্রবেশ করে পুরো বাগানটি একবার অবলোকন করলেই চোখ জুড়িয়ে যাবে। এছাড়া ফুলের সৌন্দর্য্য আর মিষ্টি গন্ধে সতেজ হয়ে উঠবে দেহমন। প্রতিটি মানুষেরই এমন ফুল বাগান অন্তত একবার পরিদর্শন করা উচিত। বিশেষ করে ফুল বিষয়ে শিশুসহ সকল ধরনের মানুষেরই জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে এই বাগান পরিদর্শন করার কোন বিকল্প নেই। নওগাঁ সড়ক বিভাগের ভবন প্রাঙ্গণে হৃদয়ের সবটুকু ভালোলাগা ও ফুলের প্রতি ভালোবাসার সবটুকু ঢেলে এমন ব্যতিক্রমী ফুল বাগানের সৃজন করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী ও লেখক সাজেদুর রহমান।

নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, নওগাঁ সড়ক বিভাগে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হামিদুল হক। তারই ধারাবাহিকতায় একটু একটু করে অফিস কম্পাউন্ডকে সাজানো শুরু করি। আমি যেখানে কাজ করি সেখানেই সড়ক নেটওয়ার্কের পাশাপাশি অফিস ও বাসা সবকিছু পরিপাটি করার চেষ্টা করি। মানুষ সাধারনত পুরাতন ও জরাজীর্ণ সরকারী অফিস দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু সুন্দর পরিবেশ করতে পারলে সবার মন প্রফুল্ল থাকে। কাজের গতি পায়।

মানুষের মন মানসিকতা পরিবর্তনেও পরিবেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে। আর এর জন্য খুব বেশি অর্থেরও প্রয়োজন হয় না। সরকারি দপ্তর সম্পর্কে মানুষের ধারনা বদলানোর জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা। সরকারের স্বক্ষমতা বেড়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মানসিকতাও ইতিবাচকভাবে বদলে যাচ্ছে। আমরা যেখানে জীবনের অধিকাংশ সময় কাটাই সেই অফিসকে সুন্দর রাখা নৈতিক দায়িত্ব। এতে করে যেমন একটি সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয় তেমনি ভাবে ওই অফিসের সবকিছুতে স্বচ্ছতার পাশাপাশি কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায় এবং মন মানসিকতার পরিবর্তনের পাশাপাশি সবকিছুতেই পরিচ্ছন্নতা ফিরে আসে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:০০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit