শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

ঢাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৯০ Time View
জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, এই ন্যক্কারজনক গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করা প্রয়োজন। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ বুধবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সভায় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, এদেশের বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও বর্বর গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তাঁরা সকল অন্যায়, অপকর্ম ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। নিজ নিজ পেশায় তাঁরা ছিলেন প্রথিতযশা। জাতিকে মেধাশুন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে দেশের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করা হয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গণহত্যার মূলকেন্দ্র। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের নৃশংস গণহত্যার নজির নেই। দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এই গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। নতুন প্রজন্মের মাঝে ইতিহাস সচেতনতা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।

উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত যে সব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এ কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহান জানান। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শনের আলোকে উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।

কিউএনবি/আয়শা/১৪ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit