মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ : নরসিংদীতে আবারও দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বেডির বাড়ির রফিকুল ইসলামের কলাবাগান থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ ও এলাকাবাসী।এদিকে মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ক্লুলেস এই জোড়া খুনের পর জেলাজুড়ে নতুন করে আবার চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঠিক কী কারণে এই জোড়া খুন সংঘটিত হয়েছে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ নিয়ে মোট ৪ দিনে নারী-পুরুষ ও শিশু এবং একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে খুন করার ঘটনা ঘটল এ জেলার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। স্থানীয়রা জানায়, শেরপুর গ্রামের বেড়ির বাড়ি এলাকার কলাবাগানগুলো খুবই নির্জন। এখানে মানুষের চলাচল খুবই কম। সোমবার দুপুরে কলাবাগানে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়রা ১০-১৫ হাত দূরত্বে দুটি মরদেহ পরে থাকতে দেখে। এ সময় তারা মরদেহের পাশে কিছু টাকাও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। মরদেহগুলোর মুখ থেঁতলানো রয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে একটি মরদেহের গলাকাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ কাজী নাজমুল ইসলাম বলেন, জেলায় অপরাধের মাত্রা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়েছে।
এ অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে হলে জেলায় সৎ, যোগ্য ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি র্যাবকে কাজে লাগাতে হবে।রায়পুরা থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে কাজ করছি। এলাকার কেউ মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি। রাতের কোনো এক সময় তাদের হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর লাশগুলো নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৫ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:০৫