তোবারক হোসেন খোকন দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি : নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাৃষক শাহিদা ইয়াসমিন নীলার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রভাষক যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান হওয়ায় সরকারি ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শাহিদা ইয়াসমিন নীলা স্নাতকোত্তর শেষ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে গত ১লা জুন ২০১৩ সালে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে যোগদান করেন। একই বছরের জুলাই মাসে এমপিওভুক্তি হন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে ওই মহাবিদ্যালয়ের ২৬জন শিক্ষককে জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালা, ২০০০ এর (বিধি-০৩ এবং ০৫) এ বর্ণিত বিধি মোতাবেক জাতীয়করণ ও এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ২২ নভেম্বর ২০১৮ইং ২য় খ-ে এক প্রজ্ঞাপনে সুসং সরকারী কলেজটিকে সরকারি ঘোষণা করে এক গেজেট প্রকাশিত হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক সাহিদা ইয়াসমিন পার্শ্ববর্তী পূর্বধলা উপজেলার খালিশাউড়া ইউনিয়নের খানপাড়া প্রামের কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল হান্নান খানের মেয়ে। নিজ পরিচয় গোপন রেখে নিজ স্বামীকে পিতার পরিচয় দিয়ে তথ্য গোপন করে ওই কলেজে চাকুরী নেন। অনৈতিক কার্যকলাপ ও অশালীন আচরণে সহকর্মী শিক্ষক, কর্মচারীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. ভবানী সাহা ওই প্রভাষককে তার অশালীন ও উশৃংখল আচরণের জন্য শোকজ করেছেন বলেও জানা গেছে। এশিয়াটিক সোসাইটির প্রধান সম্পাদক হারুণ অর রশীদ কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ট খন্ডের পৃষ্ঠা নং-৪৩ এ ওই প্রভাষকের পিতা আব্দুল হান্নান খান যে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে রয়েছেন তা উল্লেখ রয়েছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান হিসেবে কলেজের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক সকল কার্য থেকে তাকে বিরত রাখার জন্য অভিযোগ করেছেন সহকর্মী প্রায় ২০জন প্রভাষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাষক সাংবাদিকদের বলেন, সাহিদা ইয়াসমিন নীলা আমাদের সাথে দলীয় (আওয়ামীলীগ) প্রভাব দেখিয়ে সব সময়ই খারাপ আচরণ করেন। তার কারনে প্রভাষকদের মাঝে নানা বিষয়েই মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। আমরা এ থেকে পরিত্রানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। অভিযোগ নিয়ে সাহিদা ইয়াসমিন নীলা মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি হয়রানি ও প্রহসন মূলক। আমি অভিযোগ বিষয়ে লিখিত জবাব দিবো।
এ নিয়ে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আইনুল হক সাংবাদিকদের জানান, আমি এ সংক্রান্ত একটি অনুলিপি পেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে ওই প্রভাষককে কারণ দর্শানোর নোটিশও প্রদান করেছি। তিনি প্রেরিত নোটিশের জবাব না দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করে, কলেজের ২০জন প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দিয়েছেন। যাহা সম্পুর্ন বিধি পরিপন্থি।
কিউএনবি/আয়শা/১২ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:১৬