শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

ডিআইজি বজলুর রশীদের ৫ বছর কারাদণ্ড

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ৭৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের দায়ে কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের দায়ে কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করে আদালত। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত

গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।মামলার অভিযোগকারীসহ প্রসিকিউশনের ১৪ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। 

দুদকের উপপরিচালক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন একই বছরের ২৬ আগস্ট ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা এ মামলায় গত বছরের ২০ অক্টোবর দুদক বজলুর রশিদকে আটক করে গ্রেফতার দেখায়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পে ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের দাম বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে, ফ্ল্যাটের দাম পরিশোধ করা ওই অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।

এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে কোনো তথ্য নিজের আয়কর নথিতে দেখাননি বজলুর রশীদ। ওই তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। 

সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্বরত ছিলেন।

কিউএনবি/অনিমা/২৩ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit