শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

মনিরামপুরে রাস্তা নির্মানে বালুর বরাদ্দ থাকলেও অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে নদী থেকে

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) ।
  • Update Time : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৫ Time View

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে বালু খেকোদের চোঁখ পড়েছে এবার হরিহরনদীর দিকে। দুই কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দের আড়াই কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যরে বেশি রাস্তা নির্মানে ব্যবহৃত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে হরিহরনদী থেকে। রাস্তা নির্মানে ব্যবহৃত বালুর অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতদিন হরিহরনদী থেকে বালু উত্তোলন করেই চলেছেন।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) থেকে জানাগেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে মনিরামপুর সদর ইউনিয়নের হাকোবা ঈদগাহ মোড় থেকে দেবিদাসপুর ভায়া সোনাডাঙ্গা পারিবার কল্যাণ কেন্দ্র অভিমুখে দুই হাজার ৬১০ মিটার(আড়াই কিলোমিটারের) দৈর্ঘ্যরে পাকারাস্তা(পিচ) নির্মানে সরকার বরাদ্দ করেন দুই কোটি ১১ লাখ টাকা। সে মোতাবেক এলজিইডি থেকে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে কাজটি পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিশ্বজিত কনষ্ট্রাকশন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অংশিদার বিশ্বজিত দাস জানান,নানাপ্রতিকুলতার কারনে কাজটি শুরু করতে একটু বিলম্ব হয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তার বক্সখোড়া শুরু হয়েছে। বঙ্খুড়ে ব্যবহৃত বালুর অর্থ বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ২০ লক্ষাধীক টাকা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বালু ক্রয় না করে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তি হরিহরনদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতদিন উত্তোলন করছেন।

এ বালু উত্তোলনের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বালু উত্তোলন সিন্ডিকেডের হোতা ইদ্রিস আলী ও তার লোকজন। শনিবার সকাল নয়টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, দেবিদাসপুর গ্রামের শুকুর আলী ও ওসমান গণির বাড়ির পাশে হরিহরনদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে লম্বা পাইপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে স্লুইসগেটের পাশে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে ট্রলিতে করে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। এ সময় কথা হয় ড্রেজারের শ্রমিক আল আমিনের সাথে। তিনি জানান, ড্রেজার মেশিনের মালিক ইদ্রিস আলীর সাথে তারা তিনজন শ্রমিক এসেছেন একমাসের চুক্তিতে। এক মাসের মধ্যে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার বালু তারা নদী থেকে উত্তোলন করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এ সময় ড্রেজারের মালিক ইদ্রিস আলীকে পাওয়া যায়নি।

কথা হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিশ্বজিত কনষ্ট্রাকশনের অংশিদার(পার্টনার) বিশ্বজিত দাসের সাথে। তিনি জানান, নির্মান সামগ্রির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারনে কাজ হচ্ছে একটু ধীরগতিতে। অপর অংশিদার সিদ্দিকুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে নদী থেকে সামান্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুত কুমার জানান, রাস্তা নির্মানে বালুর জন্য নিদ্দিষ্টহারে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া আছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন করার কথা নয়। এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার(ভূমি) আলী হাসান জানান, খবর পেয়ে ইতিমধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, প্রশাসন থেকে বন্ধ করে দেওয়ার পর সন্ধ্যা থেকে আবারও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit