শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ন

কাজ না করে সরকারি চাল আত্মসাত করলেন চেয়ারম্যান

জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি ।
  • Update Time : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২
  • ৮৮ Time View
জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : কাজ না করে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর বিরুদ্ধে। ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের দক্ষিন ধুবনী গ্রামে একটি সড়ক সংস্কারের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে ৩ মে. টন চাল আত্মসাত করেন আনোয়ার হোসেন মিরু ও প্রকল্প চেয়ারম্যান সিঙ্গিমারী ইউপি সদস্য ছাবেদ আলী। এ অনিয়মে তাকে সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ সহ তার অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিখা খাদ্যশস্য প্রকল্পের আওতায় হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। উপজেলা পরিষদ ভিত্তিক ২য় পর্যায়ের এ প্রকল্প গুলোর একটি সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের দক্ষিন ধুবনী গ্রামে। ওই এলাকার সোহরাব মাষ্টারের বাড়ি হতে দক্ষিন দিকে নুরুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে ৩ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে বিল ভাউচার জমা দিয়ে ওই চাল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্ত স্থানীয়দের অভিযোগ গত এক বছরেও ওই রাস্তাটির সংস্কার করা হয়নি।

শুধু তাই নয় সোহরাব মাষ্টারের বাড়ি হতে নুরুর বাড়ির দুরুত্ব ২০০ ফিটের বেশি নয়। কিন্তু সামান্য রাস্তাটুকুর মাটির কাজের সংস্কারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ টন চাল। যার সরকারি মুল্য এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা। রাস্তা সংস্কার না করলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু। ওই এলাকার হয়রত আলী ও নুরল হক জানান, সোহরাব মাষ্টারের বাড়ি হতে নুরুর বাড়ির দুরুত্ব ১৫০ হাতের বেশি নয়। গত এক বছরে ওই সড়কের কোনো সংস্কার হয়নি ফলে তাদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের প্রকল্প চেয়ারম্যান ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ছাবেদ আলী। কিন্তু তিনি বললেন ভিন্ন কথা। তার দাবি কাগজে কলমে তিনি প্রকল্প চেয়ারম্যান হলেও বাস্তবে প্রকল্পটি হলো হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর। তিনি জানান, সড়কের কোনো সংস্কার হয়নি। এনিয়ে তার সাথে ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর ঝগড়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন কিছু দিন আগে ওই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন নতুন করে আবারও সংস্কার করা হচ্ছে। হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ জানান, বিল উত্তোলন করা হলেও তিনি সড়ক সেভাবে সংস্কার করেন নাই। তাকে চাপ দেয়ার পর অনেক দেরিতে হলেও ইতোমধ্যে ওই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন।

কিউএনবি/আয়শা/২৭ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:৩০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit