ডেস্ক নিউজ : সিলেটে মানবিক সহায়তার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আজ শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তারা স্থানীয় এনজিওদেরকে মাঠ পর্যায়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেওযারও দাবি করেছে। কোস্টের রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট বিডিসিএসও প্রক্রিয়ার সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন। এতে বক্তৃতা করেন, এডাবের পরিচালক জসিম উদ্দিন, দুর্যোগ ফোরাম সচিব গওহর নঈম ওয়াহরা, সিলেট এডাবের সমন্বয়কারী বাবুল আক্তার, অ্যাওয়াার্ডের নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সিইআরএফ তহবিল বিতরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের উচিৎ স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক নীতি বাস্তবায়ন করা। জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারীর ঘোষণা অনুসারে ৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করা হয়েছে। আগের মতো এই তহবিলটি শুধুমাত্র জাতিসংঘের সংস্থা ও রেডক্রস এবং বড় বড় আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা উচিৎ নয়। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক ২.৫ মিলিযয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে, আইএনজিওগুলো কী পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে তার সামান্য তথ্যই এই পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি সিলেটে টেকসই ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সুশীল সমাজ গঠনের লক্ষ্যে জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
নাঈম গওহর ওয়াহরা বলেন, ত্রাণ কর্মসূচি সমন্বয়ের জন্য সিলেট ও সুনামগঞ্জে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ত্রাণ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি জাতিসংঘসহ সকল সংস্থাকে তাদের অর্থ এবং পরিকল্পনা বিষয়ক তথ্য সিলেটের সংশ্লিষ্ট সিলেটের ইউএনও ও জেলা প্রশাসকদেরকে জানানোর আহ্বান জানান। এ কে এম জসিম উদ্দিন গ্র্যান্ড ব্যার্গেইনের প্রতিশ্রুতির আলোকে জাতিসংঘ এবং আইএনজিওগুলিকে স্থানীয় এনজিওগুলিতে কমপক্ষে ২৫ভাগ তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করর আহ্বান জানান।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় এনজিওগুলির সাথে কাজ করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, বিশেষ করে তারা জানে কিভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে হয়, কম খরচে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হয় এবং কর্মসূচি সমন্বয়কারী প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত একটা যোগাযোগ থাকে।
কিউএনবি/আয়শা/৩০ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:০২