মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন

সীতাকুণ্ডে নিহত প্রত্যেককে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রিট

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
  • ২৫৭ Time View

ডেস্কনিউজঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুনে নিহত প্রত্যেককে দুই কোটি টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিট আবেদনে বিস্ফোরক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বুধবার দুটি মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ও সিসিবি ফাউন্ডেশনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের ও এ কে এম ফয়সাল হক এই রিট পিটিশন দায়ের করেন।

রিট পিটিশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, বিএম কন্টেইনার বিডি লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালকসহ ২০ জনকে বিবাদি করা হয়েছে। রিট আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।

রিটে বলা হয়েছে, গত ৪ জুন শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে প্রায় অর্ধশত নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। অনেকেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। খবরে প্রকাশ, স্মার্ট গ্রুপের বিএম কন্টেইনার নামক কোম্পানীর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা ছাড়াই মজুদ করার কারণে আগুনে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফায়ার সার্ভিসের কাছে মজুদ করা রাসায়নিক পদার্থগুলোর প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকায় অনেক উদ্ধারকর্মী নিহত এবং আহত হয়েছেন। বাংলাদেশের আগেও তাজরিন গার্মেন্টস কারখানায় আগুন, রানা প্লাজা ভবন ধসে হাজারও প্রাণ ঝরলে পোশাক কারখানায় বিদেশী ক্রেতার চাপে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থায় অগ্রগতি হলেও অন্যান্য কারখানায় সঠিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। ফলে এসব কারখানায় নিয়মিতভাবেই অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিজাম জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বহু হতাহত হয়েছেন। বিদেশী ক্রেতাদের কোনো চাপ না থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট কারো নজর নেই। তাছাড়া অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণে অক্ষম।

রিটে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ সরাসরি লংঘন করেছেন।

রিট পিটিশনে নিহত প্রত্যেককের পরিবারকে দুই কোটি টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেইসাথে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বিনামূল্যে দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

ইতোপূর্বে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সিসিবি ফাউন্ডেশন পৃথক পৃথক আইনি নোটিশ দিয়ে হতাহতের ক্ষতিপূরণ দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রতিকার না পেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার পল্লব।

সূত্র : ইউএনবি

কিউএনবি/বিপুল/২৯.০৬.২০২২/ সন্ধ্যা ৭.০৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit