ডেস্কনিউজঃ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে সোমবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২ মে) বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সদর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে।
নিহতরা হলেন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামের দাউদ মন্ডলের ছেলে লাল্টু (৩০), আফজাল মন্ডলের ছেলে মতিয়ার (৪০), মৃত হোসেনের ছেলে কাশেম (৫০), মৃত আবুলের ছেলে রহিম মালিথা (৫৫)। নিহতরা সবাই ফজলু মন্ডল গ্রুপের সমর্থক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর এলাকার কেরামত গ্রুপ ও ফজলু মন্ডল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন দিন ধরে সামাজিক কোন্দল চলছিল। এরই সূত্র ধরে সোমবার (২ মে) বিকালে কেরামত গ্রুপ ও ফজলু মন্ডল গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ফজলু মন্ডল গ্রুপের সমর্থক লাল্টু, মতিয়ার ও কাশেম এবং রহিম মালিথাসহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত সাত থেকে আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদেরকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন জানান, আস্থানগর এলাকায় সামাজিক কোন্দলকে কেন্দ্র করে কেরামত গ্রুপ ও ফজলু গ্রুপের মধ্যে মারামারিতে চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় সাত থেকে আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
কিউএনবি/বিপুল/ ০২ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ / রাত ৯.৫০