স্বাধীনতা বিরোধী সন্তানের হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের প্রতিবাদে মু্ক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বর্জন
Reporter Name
Update Time :
শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২
১০৫
Time View
এস.কে হিমেল , ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে মহান স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের অভিযোগ স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তানের হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার প্রতিবাদে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করে চলে যান। সেই মূহুর্তে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বাগ বিতর্ক ও হট্টগোলের কারনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে ৫ মিনিট বিলম্ব হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান তাই তার হাত দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ তার পরিবারবর্গ। তারা আরও বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে তার সুফল হিসেবে আজ স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তানের হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। তাছাড়া বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে প্রকাশিত তালিকায় ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর উপজেলা আ” লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের বাবা শওকত আলী ১০২৫ নং দাদা চাটি মামুদ ১০৬১ নং এবং নানা ছমির উদ্দিন ১০২৪ নং সিরিয়ালে প্রকাশিত হয়েছে।
এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরননবী, পৌর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার কানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল করিম বজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আল-আমীন রহমান, আসাদুজ্জামান চয়ন, হুমায়ুন কবির রাকিবসহ আরও নাম না জানা অনেক মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠান বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করে চলে যায়।
এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নুরননবী অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। জাতীয় পতাকায় স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের কারো হাতের ছোয়া লেগে আমরা এই দিবসকে কলঙ্কিত করতে চাই না। তাই আমরা এ অনুষ্ঠান বর্জন করলাম। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, সাবেক কমান্ডার নুরননবী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার সাথে পরাজিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহিনা শবনম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।