শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন

প্রত্যেক নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা বাড়ি পাবেন : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৬৬ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : দেশের সকল বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। এ ছাড়া একই মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার অনুষ্ঠানস্থলে এবং ভার্চুয়ালি সকল জেলা প্রশাসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ৬৫৪ জন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত সকল মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট/ সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ি ও স্যুভেনিয়র প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন হতে ৬৫ জন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এবং বাকিদের জেলা প্রশাসকগণ তার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট/ সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ি ও স্যুভেনিয়র প্রদান করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন তার সবই প্রদান করা হচ্ছে। মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের জায়গায় শিশু পার্ক নির্মাণ করেছিলেন। তিনি  বলেন, আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করতে চাই। যেখানে মানুষ গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল সে সব স্থান আমরা সংরক্ষণ করছি। বধ্যভূমিগুলোও আমরা সংরক্ষণ করছি। এ ছাড়া যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা মারা যান তাদের একই রকম ডিজাইনের কবর দেওয়া হবে। যেন ৫০ বছর পরেও একটি কবর দেখে বোঝা যায় এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।

এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু থেকেই সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা এবং আত্মসম্ভ্রম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরজ্জ্বোল দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগ অপরিসীম। বিধবা হতে পারেন জেনেও তারা স্বামীদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়েছেন। পুত্রহারা হতে পারেন জেনেও পুত্রদের রণক্ষেত্রে পাঠিয়েছেন। নির্যাতিত হতে পারেন জেনেও কন্যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে ও জাতীয় পর্যায়ে একসাথে দেশব্যাপী মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করা হয়নি। এবারই আলাদাভাবে বাংলাদেশের সকল মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একই দিনে, একই সময়ে, একই সাথে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মুজিব বর্ষের থিম সং এবং মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় ও সংগ্রামী জীবনের ওপর নির্মিত গীতিআলেখ্য পরিবেশিত হয়। এ অনুষ্ঠানে  সম্মাননাপ্রাপ্ত মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকদুমা নার্গিস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া শিরিন অনুভূতি প্রকাশ করেন।   

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:৩৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit