ডেস্কনিউজঃ ২০০২ সালে মাদারীপুরের রাজৈরে গৃহবধূ রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণের পর গলাকেটে হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লাইলাতুল ফেরদাউস এই আদেশ দেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর এক আসামি মামলার পরপরই দেশত্যাগ করেন।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন, আমগ্রাম এলাকার অশোক বৈদ্য, নরেন বৈরাগী, কালু বিশ্বাস, বিজয় বেপারী ও তরণী বৈদ্য। তবে বিজয় বেপারী পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকার মৃত চৈতন্য বৈদ্যর ছেলে অশোক বৈদ্য, তরণী বৈদ্য, গৌরঙ্গ বৈদ্যর সঙ্গে একই এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের ছেলে বিষ্ণু পদ বৈদ্যের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর পূজার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে গুরুপদ বৈদ্যর স্ত্রী ও বিষ্ণু পদ বৈদ্যের মা রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই এলাকার চৈতন বৈদ্যর ছেলে অশোক বৈদ্য, তরণী বৈদ্য, গৌরঙ্গ বৈদ্য, পদ বিশ্বাসের ছেলে কালু বিশ্বাস ও নরেন বৈরাগী ও বিজয় বেপারী।
এ ঘটনায় অপহরণের পরের দিন রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে বিষ্ণু পদ বৈদ্য। মামলা দায়েরের ১০ দিন পর পুলিশ পার্শ্ববর্তী পাখুল্লার বিলের মধ্যে কচুরিপানার নিচ থেকে নিহত রাধা রানী বৈদ্যের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোখলেসুর রহমান ঘটনার তদন্ত শেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন গৌরঙ্গ বৈদ্য মারা যায়। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত রায় প্রদান করেন।
এদিকে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সিদ্দিকুর রহমান সিং রায়ের বিষয়টি আরটিভি নিউজকে নিশ্চিত করেন।
এছাড়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত রায় কার্যকর করার কথা জানান।
কিউএনবি/বিপুল/২৪শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ |সন্ধ্যা ৬:৩৭