ডেস্ক নিউজ : ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি সংবাদলিংক শেয়ার করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে।
তিনি একটি দৈনিকের প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে জিল্লুর রহমানের মন্তব্যের সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলেন—কেন তিনি ১৯৯৬, ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ সালের মতো পরিস্থিতির সম্ভাবনার কথা তুলছেন। প্রেস সচিবের দাবি, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে না রাখলে তা ‘অংশগ্রহণহীন’ বা ‘অবিশ্বাসযোগ্য’ হয়—এ ধারণার সঙ্গে সরকার একমত নয়, এবং অধিকাংশ নাগরিকও তা সমর্থন করেন না।
তার ভাষায়, আওয়ামী লীগকে আবার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনার পক্ষে কেউ জোরালোভাবে কথা বলছে না। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরাও মনে করেন না যে ক্ষমা প্রার্থনা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক স্বাভাবিকতায় ফিরতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোও দেখা যায়—দলটি এখনো সহিংস কৌশলকে রাজনৈতিকভাবে লাভজনক মনে করে।
জিল্লুর রহমানের সাম্প্রতিক অনলাইন ভিডিওগুলো নিয়েও মন্তব্য করেন শফিকুল আলম। তার দাবি, এসব ভিডিওর অনেক অংশে গুজব, বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রতত্ত্ব প্রচার করা হয় এবং তিনি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ও গোলাম মাওলা রনির মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছেন। সবশেষ প্রেস সচিব বলেন, মানুষ নিজের যুক্তি-বিবেচনা দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আর দুটি কথা আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে না এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করবে, ইনশাআল্লাহ।
কিউএনবি/খোরশেদ/০১ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৪:২২