আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়া থেকে সেনা কমানো এবং ঘাঁটি বন্ধের সাম্প্রতিক মার্কিন ঘোষণার বিপরীত কাণ্ডই ঘটছে। জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকা প্রদেশে সামরিক ঘাঁটিতে আরও শক্তি বাড়াচ্ছে। নতুন করে আনা হচ্ছে অস্ত্রশস্ত্র।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে একটি মার্কিন কার্গো বিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার তেল সমৃদ্ধ রমেলাম শহরের কাছে খারাব আল-জির বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ব্রিটেন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীটি স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন কার্গো বিমানটিতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ভারী অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ এবং বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মী ছিল। অবজারভেটরি আরও উল্লেখ করেছে, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে গঠিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার তাদের অবস্থান আরও সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
এর আগে ২১ অক্টোবর, একই বিমানবন্দরে আরও একটি মার্কিন কার্গো বিমানের সঙ্গে দুটি সামরিক হেলিকপ্টার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ভারী অস্ত্র নিয়ে অবতরণ করেছিল।
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন ঘাঁটিতে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
তুরস্কের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়ার বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করা থমাস ব্যারাক চলতি বছরের জুনের শুরুতে বলেছিলেন, পেন্টাগন সিরিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি হ্রাস করে শুধু একটি ঘাঁটি চালু রাখতে চায়। ২ জুন তুর্কি সম্প্রচার মাধ্যম এনটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যারাক বলেন, সেনা কমানো এবং সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা একটি কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের অংশ।
তিনি সেসময় বলেছিলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে আমাদের বর্তমান সিরিয়া নীতি বিগত ১০০ বছরের সিরিয়া নীতির কাছাকাছি হবে না, কারণ সেগুলোর কোনটিই কাজ করেনি।
সূত্র: প্রেস টিভি
কিউএনবি/অনিমা/২৮ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৮:০০