বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন

সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা গণতন্ত্রবিরোধী: দুদু

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৩ Time View

ডেস্ক নিউজ : কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সরকারের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁসের হুমকি দেওয়া বা ব্ল্যাকমেইলের মতো কর্মকাণ্ডে জড়ানো অনৈতিক, বেআইনি ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, এ ধরনের কাজ আইনের শাসনের পরিপন্থি এবং দণ্ডনীয়। 

মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দুদু বলেন, দেশ এখন কার্যত নানান বিপদের মধ্যে রয়েছে। যারা কাজকর্মে বের হন, তারা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সরকার কিসের জন্য? সরকারের দায়িত্ব হলো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। রাস্তাঘাটে বের হলে মানুষ অনিরাপদ বোধ করছে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি ও অনুরোধ করছি—এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

দুদু বলেন, অনির্বাচিত সরকার নয়, নির্বাচিত সরকারই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে। যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে স্বৈরতন্ত্রের পতনের মধ্য দিয়ে মানুষের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা কোনো না কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। মানুষ হতাশ হয়ে পড়বে। তাই আজ যারা সরকারে আছেন, তাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনো বিশেষ দলের প্রভাবে যেন নির্বাচন পরিচালনা, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) বা নির্বাচন-সম্পর্কিত কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রভাবিত না হয়। যদি তা হয়, তবে দেশের গণতন্ত্র আশাহত হবে এবং মানুষ নিরাশ হবে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কোনো এক রাজনৈতিক দল সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছে, নাকি তারা কী করতে চাইছে আমি জানি না। তারা সরকারের অভ্যন্তরের কিছু কথা উল্লেখ করে বলেছেন—প্রয়োজনে তা ফাঁস করবে। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং সরকারের জন্য শুভ কিছু বয়ে আনবে না। সরকারের অভ্যন্তরে চর নিয়োগ করা, লোক নিয়োগ করা বা ব্ল্যাকমেইল করার মতো কাজ কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়; এটি শোভনীয় নয়। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পরিপ্রেক্ষিতে এটি দণ্ডনীয় এবং বেআইনি। তাই আমি বলবো—যারা সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করে সুবিধা নেওয়ার চিন্তা করছেন, সরকারের উচিত তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা।

তিনি বলেন, এই দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল শেখ মুজিব। ৭৩-৭৫ এর কথা স্মরণ করলে দেখবেন শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র, স্বাধীনতার কথা বলে তিন বছরে বাকশাল গঠন করেছিলেন। রক্ষীবাহিনী গঠন করে বিরোধীদলের প্রায় ৪০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। গত ১৫-১৬ বছর শেখ হাসিনা বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছে শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য। এই পরিবার আগাগোড়া খুনি, গণহত্যাকারী এবং লুটপাটকারী। তাদের বিচার অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। এই খুনিদের কোনোভাবে পুনর্বাসন করা যাবে না।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই খুনিরা (আওয়ামী লীগ) যতদিন পর্যন্ত থাকবে পার্শ্ববর্তী একটা দেশ বাংলাদেশকে বিপন্ন করবে। এবং এই দেশ গত ৫৪ বছর ধরে শোষণ করেছে। গত তিনটি নির্বাচনে তারা একবারের জন্য বলে নাই নির্বাচনের মতো নির্বাচন হয় নাই। সেজন্য এসব বিপদ-আপদ, ষড়যন্ত্র রুখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না থাকলে আমাদের যা অর্জন গণতন্ত্রের যে সম্ভাবনা সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবো না।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৪:৩৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit