ডেস্ক নিউজ : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সালিশ বৈঠক চলাকালে দুদল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। নিহত জাকু মাতুব্বরের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার সোনাখোলা গ্রামের আনোয়ার মাতুবরের ছেলে।
গ্রামবাসী জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামের কুতুবউদ্দিনের একটি ভ্যান ছিনতাই করে সোনাখোলা মহসিনের সালাউদ্দিনসহ তার সহযোগীরা।
এ ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোনাখোলা গ্রামে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টাব্যাপী একটা সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ চলাকালে নলিয়া গ্রামের ভ্যানচালক কুতুবউদ্দিনসহ তার লোকজনকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয় সোনাখোলা গ্ৰামের শাহজাহান খাঁ দলের সালাউদ্দিনসহ তার লোকজন।
তখন কুতুবউদ্দিনের পক্ষ নিয়ে বাদশা মাতব্বরের দলের জাকু মাতুব্বর ও শাহজাহান খাঁ দলের সালাউদ্দিনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা ২ ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হয়।
জাকু মাতুব্বর নিহতের সংবাদ গ্রামের বাড়ি সোনাখোলা পৌঁছালে শাজাহান খাঁ দলের প্রায় ২০ বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ২ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। একজন নিহত হয়েছে। লাশ ভাঙ্গা হাসপাতাল থেকে ভাঙ্গা থানায় আনা হয়েছে। সোমবার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ৮:৪৪