সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

১৪ বছর ব্যাংকে চাকরি, এখন ফুটপাতে করছেন ভিক্ষা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির রাজধানী খ্যাত বেঙ্গালুরু। ব্যস্ত এক মোড়ে ছুটে চলা মানুষের ভিড়ের মাঝেই দেখা মিলল এক প্রাক্তন ব্যাংক কর্মীর। পাশে রাখা একটি ব্যাকপ্যাক, হাতে একটি চিরকুট। তাতে লেখা—“১৪ বছর ধরে ব্যাংকে চাকরি করার পর এখন বেকার আমি। থাকার জায়গাও নেই। চাই সাহায্য।”

তাঁর পাশে ছিল একটি ছোট কাগজে প্রিন্ট করা কিউআর কোড, যা দিয়ে সম্ভবত ডিজিটাল অনুদান সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন তিনি।

এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে শেয়ার করেন এক ব্যবহারকারী। ক্যাপশনে লেখা হয়, “বেঙ্গালুরুর এক সিগন্যালে এই মানুষটির সঙ্গে দেখা হলো। বিষয়টি যতই দুঃখজনক হোক, আমি ভাবছি—এটা কি সমাজের ব্যর্থতা, নাকি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ফল?”

পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমাদের দেশের কঠিন বাস্তবতা হলো, আমরা কলেজ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের ১% এর জন্যও চাকরি দিতে পারি না।”

আরেকজন মন্তব্য করেন, “তিনি কি শারীরিকভাবে অক্ষম? যদি তাই হয়, তাঁর প্রতি সহানুভূতি। যদি না হন, তবে বেঙ্গালুরুর মতো শহরে একজন তরুণ মানুষের ভিক্ষা করার কোনো অজুহাত নেই। এখানে কাজের অভাব নেই, যদি কাজ করার ইচ্ছা থাকে। হয়তো খুব বেশি বেতনের চাকরি নাও হবে, কিন্তু একজন মানুষের বেঁচে থাকার মতো আয়ের সুযোগ রয়েছে। জীবন কঠিন এবং অনেক সময় অবিচারও করে, তবে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হয়—অন্য কেউ এসে সাহায্য করবে না।”

তবে একজন ভিন্ন মত প্রকাশ করে লিখেছেন, “অনেকে বলছেন, তিনি যদি শারীরিকভাবে সক্ষম হন, তাহলে ডেলিভারি বা ড্রাইভিংয়ের মতো কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দীর্ঘদিন বেকার থাকলে মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, বিষণ্ণতায় ভোগে। সেটিই অনেক সময় বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।”

এই ঘটনাটি শুধু একজন প্রাক্তন ব্যাংক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত দুর্ভাগ্য নয়, বরং বর্তমান সমাজব্যবস্থা ও বেকারত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

কিউএনবি/অনিমা/০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫/রাত ৯:৫৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit