স্পোর্টস ডেস্ক : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফেরার কথা ভাবছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে ভবিষ্যতে এই ফেরাটা ভিন্ন ভূমিকায় হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এই ৪১ বছর বয়সী। এই কিংবদন্তি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) কোচিং বা মেন্টরিংয়ের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
ডি ভিলিয়ার্স তার আইপিএল ক্যারিয়ারের বড় অংশটাই কাটিয়েছেন আরসিবিতে। ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস) হয়ে আইপিএল যাত্রা শুরু করেছিলেন এই কিংবদন্তি এবং তিন মৌসুম সেখানে খেলার পর ২০১১ সালে যোগ দেন আরসিবিতে।
এই প্রোটিয়া কিংবদন্তি ২০২১ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তিনি জানিয়েছেন, আইপিএলে পূর্ণ মৌসুমের পেশাদার দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই বললেই চলে। তবে, আরসিবি’র সঙ্গে তার সম্পর্ক অটুট এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিটি চাইলে ভবিষ্যতে তিনি অবশ্যই দলের সঙ্গে যুক্ত হতে প্রস্তুত।
ডি ভিলিয়ার্স ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএস’কে বলেন, ‘আমি ভবিষ্যতে ভিন্ন ভূমিকায় আইপিএলে জড়িত হতে পারি, তবে, পূর্ণ মৌসুম পেশাদারভাবে খাটা খুব কঠিন, আমার বিশ্বাস সেই সময় শেষ। তবে কখনোই ‘না বলে দিতে নেই’। আমার হৃদয় সবসময় আরসিবি’র সঙ্গে থাকবে। তাই, ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি মনে করে আমার জন্য কোনো ভূমিকা আছে (কোচ বা মেন্টর হিসেবে), সঠিক সময়ে এবং আমি প্রস্তুত হলে সেটা অবশ্যই আরসিবি’র সঙ্গেই হবে।’
আরসিবির জার্সিতে ১৫৭ ম্যাচে ৪১.১০ গড়ে ৪,৫২২ রান করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৮.৩৩। আরসিবির হয়ে দুটি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২০১৬ মৌসুমে গুজরাট লায়ন্সের (এখন গুজরাট টাইটান্স) বিপক্ষে বিরাট কোহলির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড ২২৯ রানের জুটি গড়েন তিনি, যা এখনো আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। সে মৌসুমে তার সংগ্রহ ছিল ৬৮৭ রান, রান সংগ্রাহকের তালিকায় ছিলেন তৃতীয় স্থানে।
দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মোট ১৮৪ ম্যাচ খেলে ৫,১৬২ রান করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। আর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫১.৬৮, সঙ্গে রয়েছে ৪০টি হাফসেঞ্চুরি ও ৩টি সেঞ্চুরি। ২০২২ সালে ক্রিস গেইলের সঙ্গে তাকে আরসিবি হল অব ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ আগস্ট ২০২৫/সন্ধ্যা ৬:০০