আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তেহরানে যদি আমরা পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি এবং জনগণ সহযোগিতা না করে, তাহলে সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবর মাসে বাঁধগুলোতে আর পানি থাকবে না।’
ইরানের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার পরিচালক শিনা আনসারি জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরে ইরান ব্যাপক খরা পরিস্থিতির মুখোমুখি। যার কারণে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানি সংকট বাড়ছে। গত চার মাসে ভারী বৃষ্টিপাত ৪০ শতাংশ কমে গেছে।
আনসারি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রতি অবহেলা ইরানকে এখন বিভিন্ন পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে, যেমন পানি সংকট। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে তেহরানের ৭০ শতাংশ বাসিন্দা গড়ে ১৩০ লিটারের বেশি পানি ব্যবহার করছেন।
তেহরান প্রদেশের পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান মোহসেন আরদাকানি মেহর নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘তেহরানে প্রতিদিন গড়ে ১৩০ লিটারের বেশি পানি ব্যবহার করছেন ৭০ শতাংশ মানুষ।
পানির মতো প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে কৃষি খাতে যেখানে ৮০ শতাংশ পানি ব্যবহার হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, গ্রীষ্মকালে সপ্তাহে একদিন (বুধবার) অতিরিক্ত ছুটি দেয়া হোক বা পানির চাহিদা কমানোর লক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী ছুটি ঘোষণা করা হোক। তবে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘ছুটি দেয়া মানে সমস্যাকে লুকানো, কিন্তু সমাধান নয়।’
২০২১ সালের গ্রীষ্মে দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানে পানির সংকট নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হয়। যেখানে হাজার হাজার নাগরিক সরকারের পানি ব্যবস্থাপনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশে রাজপথে নেমে আসেন।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ জুলাই ২০২৫,/রাত ৮:৪৪