সম্প্রতি ব্রাজিলে উৎপাদিত পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে লাতিন আমেরিকার এই দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও জোরালো করার ইঙ্গিত দেন তিনি। এর পাল্টা জবাবে ব্রাজিলের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী কার্লোস ফাভারো জানান, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিবেন তারা। শুল্ক বহাল থাকলে কমলার রস, কফি আর গরুর মাংস রফতানির ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বাজার অনুসন্ধানের চেষ্টা করবে তার সরকার।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপরও ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্কারোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা। বলেছেন, যদি ব্রাজিলের পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হয়, তবে তার সরকারও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। বিশ্ববাজারের তথ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কফির চাহিদার এক তৃতীয়াংশ জোগান দেয় ব্রাজিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুইদেশের শুল্কযুদ্ধ বহাল থাকলে ব্রাজিলিয়ান কফির বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্রেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই পণ্যের সরবরাহ।
মার্কিনিদের পান করা অর্ধেক কমলার রসের জোগানও আসে এই ব্রাজিল থেকেই। তাই ব্রাজিলের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপে কমলার রস ও কফি কিনতে অতিরিক্ত ডলার গুনতে হবে মার্কিনিদের, এমনটাই আশঙ্কা ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকদের।