ডেস্ক নিউজ : হজের সব কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর যেকোনো তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে গণ্য। তাই কেউ যদি হজ সম্পন্ন করে যেকোনো তাওয়াফ করে মক্কায় অবস্থান করলে তার জন্য মক্কা থেকে চলে আসার সময় আবার তাওয়াফ করা ওয়াজিব নয়। যেহেতু তার ওয়াজিব তাওয়াফ এর আগেই আদায় হয়ে গেছে। তবে তার জন্যও একবার তাওয়াফ করে বিদায় নেয়া মোস্তাহাব।
কিন্তু বিদায়ী তাওয়াফের আগে কোনো নারীর ঋতুচক্রের শুরু হলে এবং ওই অবস্থায় বিদায়ী তাওয়াফ না করে দেশে ফিরে গেলে তার ওপর কোনো কাফফারা বা জরিমানা আবশ্যক হবে না। কেননা তাওয়াফে বিদার ক্ষেত্রে ঋতুবতী নারীকে শরিয়তে ছাড় দেয়া হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, (প্রত্যাবর্তনকালে) তাদের সবশেষ কাজ যেন হয় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ, কিন্তু ঋতুবতী নারীদের তা থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। (মুসলিম: ১৩২৮) (আলমুহিতুর রাজাবি: ২/২০৮; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাদ্দুর: ১/৫১৩)
ঋতুস্রাব চলাকালীন তাওয়াফ নিষিদ্ধ। তাই পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে পবিত্র হয়ে গেলে অবশ্যই এর ভিতরেই তাওয়াফ সেরে নিতে হবে। কিন্তু যদি ১২ তারিখ সূর্যাস্তের ভিতর পবিত্র না হয় তাহলে পবিত্র হওয়ামাত্র আদায় করে নিবে। এক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে কোনো জরিমানা আসবে না। (রদ্দুল মুহতার: ২/৫১৯)
তবে কোনো নারী ওষুধ সেবনের কারণে যদি স্রাব একেবারে বন্ধ হয়ে যায়; তবে সে গোসল করে তাওয়াফ করতে পারবে।উল্লেখ্য, চলতি বছর হজে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশ থেকে ১৮ লাখ মুসল্লি হজ করতে গেছেন। বাংলাদেশ থেকে গেছেন ৮৫ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী।
কিউএনবি/আয়শা/১৬ জুন ২০২৫, /বিকাল ৪:০৪