বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন

‘৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ তদন্তের জন্য ডাটা এন্ট্রি চলছে’

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫
  • ১৫৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ তদন্তের জন্য ডাটা এন্ট্রি কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীরপ্রতীক)।

মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণিবিন্যাস এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক চেতনায় মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় করানো হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সেদিনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুরাও মুক্তিযদ্ধের তালিকায় রাজনৈতিক বিবেচনায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি- নাতনি না হয়েও ভুয়া কাগজ তৈরি করে চাকরি ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেক্টরে কোটা সুবিধা নিয়েছে। এসব এখন তদন্তের অধীনে আসছে। 

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমাদের একটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিভিন্ন তদবির ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে। তারা ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। দেখা যাচ্ছে, আবেদনে যেই মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশগ্রহণের ‘তথ্য প্রমাণ ও ডিক্লারেশন’ দিয়েছেন, ‘আমি অমুক সেক্টরে অমুক জায়গায় যুদ্ধ করেছি’ খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে সেই সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বা অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা তাকে চিনেন-ই না। কখনো দেখেননি। এরকম শত শত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে। এ পর্যন্ত ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এরমধ্যে ৪০ হজার ডাটা এন্ট্রি হয়ে গেছে। ৫০ হাজার ডাটা এন্ট্রির কাজ চলমান রয়েছে।

ফারুক-ই-আজম জানান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এখন সেগুলো যাছাই-বাছাই করছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজন নাম প্রত্যহারের আবেদন করেছেন। যারা নাম প্রত্যাহার করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। অভিযোগ পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দেয়ার চিঠি দেয়া হবে। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে। তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। শুনানি করে যাদের কাগজপত্র ঠিক আছে, তারা গেজেটভুক্ত থাকবে। আর যারা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না তাদের গেজেট বাতিল করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনের পর দ্রুত বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্দ্যেগ নেয়া হবে। আশা করছি সময় কিছুটা ক্ষেপন হলেও প্রকৃত রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রস্তুতে সফলতা আসবে।

তিনি বলেন, সরকার রণাঙ্গনের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করার কাজ করছে। যেসব কৃষক-শ্রমিক, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ,নৌ কমান্ডো, আনসার, ইপিআর যুদ্ধ করেছে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের মর্যাদা কখনো সীমান্ত পাড়ি দেয়া, কিংবা বিদেশে বসে আরাম আয়েশে জনমত সৃষ্টির প্রচারণা চালানো, ফুটবল খেলোয়াড়, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গাওয়া মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা এক হতে পারে না। তাই মন্ত্রণালয় মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ ছাড়া অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের ‘সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে। এ ব্যাপারে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা প্রজ্ঞাপন জারি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা রণাঙ্গনে ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন তারা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। অপরদিকে যারা বিদেশে জনমত তৈরির প্রচার চালিয়েছেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের খেলোয়াড়, স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী, সাংবাদিক, ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা সহকারীসহ যারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রয়েছেন, তাদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

সূত্র : বাসস।

কিউএনবি/অনিমা/২৫ মার্চ ২০২৫,/রাত ৮:২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit