ডেস্ক নিউজ : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ সংক্রান্ত নতুন আদেশের ফলে পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হিসেবে যা লেখা থাকবে তা পরিশোধ করলেই হবে। সম্প্রতি সুপারশপের মালিকদের মধ্যে আলোচনার পর ভ্যাট তুলে নেয়ার নির্দেশনা জারি করেছে এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখা।
এতে বলা হয়েছে, সুপারশপ প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু, বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়পূর্বক (উৎপাদন ব্যতীত) সরবরাহ করে থাকে, সেহেতু, সুপারশপ কর্তৃক সরবরাহের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করা হলে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর অন্যান্য বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণের ক্ষেত্রে উপকরণ-উৎপাদ সহগ ঘোষণা দাখিল করতে হবে না।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখার এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুসারে ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। সুপারশপগুলোর ক্ষেত্রেও এই হার প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়।
এরপর সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সুপারমার্কেটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় ভ্যাটের হার কমানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে সুপারশপের প্রতিনিধিরা তিনটি সুনির্দিষ্ট ক্রেতাবান্ধব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেন এবং তারা ভ্যাটের যে আদর্শ পদ্ধতি রয়েছে তা অনুসরণের পরামর্শ দেন।
তারা বলেন, ভ্যাটের স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে ১৫% মূসক পরিশোধ করে ক্রয়ের ওপর রেয়াত গ্রহণ করা। সেই নীতি অনুসারে সুপারশপগুলো যদি ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করে, তাহলে তারা অন্যান্য নিয়ম মেনে সহজেই ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবে। এই পদ্ধতিতে ক্রেতাদের বাজার করার পর সেই অতিরিক্ত ৫ % বা বর্তমানে কার্যকর ৭.৫% ভ্যাট আর দিতে হবে না। পণ্য মূল্যের মধ্যেই ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটির বাস্তবায়নে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে , তা দুপক্ষ আলোচনা করে নিরসনের জন্য সম্মত হন।
কিউএনবি/আয়শা/২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/রাত ৯:৩০