আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ভেঙে পড়ে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বলকান দেশ সার্বিয়া। রোববার সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে হাজারো মানুষ। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্ররা। তবে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন দেশটির কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষকরাও।
গত সাত সপ্তাহ ধরে বেলগ্রেডে একের পর এক আন্দোলন হচ্ছে। তবে রোববারের জমায়েত ছিল ঐতিহাসিক। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ২৯ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছে ওই দিন। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর সার্বিয়ার নভি সাদ স্টেশনের ছাদ ভেঙে পড়েছিল। এই দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। অভযোগ ওঠে, দুর্নীতির কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন শুরু হয়।
অভিযোগ, সম্প্রতি দুবার ওই স্টেশনে সংস্কারের কাজ হয়েছে। একটি চীনা সংস্থাকে দিয়ে ওই কাজ করানো হয়। কাজের নামে সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। চাপের মুখে সরকার ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। তার মধ্যে একজন মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই মন্ত্রীকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে রোষের পারদ আরও চড়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিস বলেছিলেন, আন্দোলন নিয়ে তিনি এতটুকু চিন্তিত নন। বিরোধীরাই এই আন্দোলনের পেছনে আছে। কিন্তু রোববারের জমায়েত দেখার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
গত সাত সপ্তাহ ধরে সার্বিয়ায় যে আন্দোলন চলছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্ররা। অভিনেতা, কৃষক ইউনিয়নের গোষ্ঠীও তাতে শামিল হয়েছে। তবে ছাত্ররা লাগাতার রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার রাজধানী বেলগ্রেডের জমায়েতে প্রথম ১৫ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় মৃত ১৫ জনকে স্মরণ করে। পরের আধ ঘণ্টা গর্জনের আধ ঘণ্টা বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই আধ ঘণ্টা প্রবল আওয়াজের মাধ্যমে প্রতিবাদ দেখানো হয়।
কিউএনবি/আয়শা/২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৩:৪৫