বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন

সিরিয়ায় সরকার পতনের পর প্রথম জুমায় উমাইয়া মসজিদে মুসল্লির ঢল

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : উমাইয়া মসজিদ, যাকে গ্রেট মসজিদ অব দামেস্কও বলা হয়, ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্য স্থাপত্য। এটি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত এবং মুসলিম সভ্যতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।

আসাদের শাসনামলে, বিশেষত ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উমাইয়া মসজিদ কয়েকবার বন্ধ ছিল। একাধিকবার শেলিং, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি এবং সামরিক দমননীতির কারণে মসজিদে সাধারণ মুসল্লিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর ধরে এই মসজিদ স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চালাতে পারেনি।

উমাইয়া মসজিদ ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ নির্মাণ করেন। এটি ইসলামের প্রথম দিককার বৃহৎ মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইসলামি স্থাপত্যের এক অনবদ্য নিদর্শন। মসজিদটি শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হজরত ইয়াহইয়া (আ.)-এর মাজার অবস্থিত, যা মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিস্টানদের কাছেও পবিত্র স্থান।
 
সিরিয়ার জনগণ প্রায় ১২ বছর ধরে আসাদের দমনমূলক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। ২০১১ সালে শুরু হওয়া আরব বসন্তের সময়ই সিরিয়ার বিদ্রোহ শুরু হয়। এই দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ, বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে ২০২৪ সালে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। দীর্ঘ এই সংগ্রাম ছিল রক্তাক্ত, কিন্তু জনগণের ঐক্য ও দৃঢ় সংকল্প স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

সিরিয়ার স্বাধীনতার মুহূর্তটি শুধুমাত্র সিরিয়ার নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয়। উমাইয়া মসজিদে স্বাধীনতার প্রথম জুমা মানুষের ঈমানি শক্তির প্রতীক, সিরিয়ার জনগণের সংগ্রাম ও ঐক্য আমাদের শেখায়, ন্যায়বিচার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় ধৈর্য, সাহস ও আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
 
গত ৮ ডিসেম্বর ২৪ বছর ধরে শাসন করা স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদকে উৎখাত করে দামেস্ক দখল করা হয়। এরপরই সিরিয়ার গোলান মালভূমিসহ দক্ষিণ সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে নেতানিয়াহু বাহিনী। একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেয় তারা। এরপর অগ্রসর হতে থাকে রাজধানী দামেস্কের দিকে। গতকাল রাতে সরাসরি দামেস্কে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, আসাদ সরকারের পতন হওয়ার পর অস্ত্র ও সামরিক স্থাপনাগুলো যাতে বিদ্রোহীদের হাতে চলে না যায় এবং তাদেরর জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে, এ জন্য তারা অভিযান চালাচ্ছে। ইসরাইলের এমন আগ্রাসী অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরক, কাতার ও ইরাক। এরপর শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সিরিয়ায় হামলা বন্ধ করতে আহ্বান জানান। কিন্তু সেই আহ্বানে কান না দিয়ে গতকাল রাতেই দামেস্কে হামলা চালাল আইডিএফ।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৪ ডিসেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:৩৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit