এর মধ্যদিয়ে আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। অত্যাচারী একনায়কের পতনকে উদযাপন করছেন সিরীয় জনগণ। ক্রেমলিন জানিয়েছে, আসাদ ও তার পরিবারকে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ৮ ডিসেম্বের সিরিয়ার রাজধানীর পতনের পর থেকে তিনি জনসমক্ষে উপস্থিত হননি বা কোনো বিবৃতি দেননি। তার পরবর্তী পরিকল্পনা কী সেটাও স্পষ্ট নয়।
এমন প্রেক্ষাপটেই আসাদকে ইউক্রেন থেকে দখলে নেয়া মারিউপোল শহরে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছেন রাশিয়ার সংসদের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য দিমিত্রি কুজনেতসভ।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস বাশার আল-আসাদ এবং তার পরিবার যুদ্ধে বিধ্বস্ত দনবাসের একটি এলাকার হিতৈষী হতে পারেন এবং মারিউপোলের নবনির্মিত বাড়িগুলোর একটিতে স্থানান্তরিত হতে পারেন।’
কৃষ্ণ সাগরের বন্দর শহর মারিউপোল বর্তমানে রাশিয়ার দোনেৎস্কের অংশ। তিন মাসের লড়াই শেষে ২০২২ সালে রাশিয়ান সৈন্যরা এটি নিয়ন্ত্রনে নেয়। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ শহরটির পুনর্গঠনে কাজ করছে।
রুশ এ রাজনীতিবিদ আরও বলেন, ‘আসাদকে রাশিয়ান জনগণের সেবায় কাজ করার সুযোগ দেয়ার পক্ষে আমি। এমনিক দনবাস পুনর্গঠন শেষে আমরা তাকে নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি।’
এর আগে আরেক রুশ আইনপ্রণেতা এলেক্সি ঝুরাভলিওভ আসাদকে রাশিয়ান নাগরিকত্ব দেয়ার দাবি করেছেন। তার যুক্তি,
আসাদ রাশিয়ার জন্য যথেষ্ট করেছেন।
রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক মিখাইল উলিয়ানভ আসাদকে আশ্রয় দেয়ার পক্ষ্যে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, মস্কো ‘কঠিন পরিস্থিতিতেও তার বন্ধুদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে না।’
২০১৫ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসাদ সরকারকে সামরিকভাবে সহায়তা করে মস্কো। আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় এখন রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা দামেস্কে এইচটিএস-নেতৃত্বাধীন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে এবং তাদের কূটনীতিক এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আপাতত কোনো হুমকির মুখে নেই।