সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৯ অপরাহ্ন

বিদেশে পাচার হওয়া টাকার কী হবে?

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ Time View

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের মধ্যে থাকা মন্ত্রী-এমপিসহ বেশ কয়েকজনের যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে বলে ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে।

গার্ডিয়ানের দাবি, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে ৪০ কোটি পাউন্ডের (৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন।

প্রতিবেদনে ঘনিষ্ঠদের মধ্যে সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপ, নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার নাসা গ্রুপ এবং সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নাম এসেছে।

এদিকে দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে কলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে বিভিন্ন দেশে ২৪ হাজার কোটি ডলার অর্থ পাচার করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে জনমনে একটিই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে, বিদেশে পাচার হওয়া এই বিপুল পরিমান টাকার গতি কী হবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ইউনিট কাজ করছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের নেয়া পদক্ষেপগুলো গার্ডিয়ানের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকায় রাজস্ব বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেক্মিমকো ও বসুন্ধরা গ্রুপসহ কয়েকটি শিল্প গোষ্ঠীর বিষয়ে তারাও কাজ করছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এর বিস্তারিত আর কিছু বলেননি ওই কর্মকর্তা।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে যে ধারণা পাওয়া গেছে তা হলো সিআইডির একটি টাস্কফোর্স কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব শিল্প গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলো তদন্ত করে দেখছে। ওই টাস্কফোর্সই মূলত দেখবে বিদেশে পাচার করা হলে সেই অর্থ কীভাবে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেশি। গার্ডিয়ানের রিপোর্টে ৪০ কোটি পাউন্ডের কথা বলা হলেও এটি আরও অনেক বেশি হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তবে এটি অনেক জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী বিষয়। বাংলাদেশ ও যে দেশে টাকা পাচার হয়েছে সেখানকার পারস্পারিক আইনি প্রক্রিয়ায় এটি সম্ভব।

ইফতেখারুজ্জামানের মতে, অল্প সময়ের মধ্যে এই টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব কঠিন। তবে যেসব দেশে এসব শিল্পগোষ্ঠী সম্পদ গড়েছে তাদের সরকারগুলো বাংলাদেশের প্রতি এখন সহানুভূতিশীল। কিন্তু তারপরেও প্রথমত বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাকাটা যে পাচার হয়ে গেছে সেটা আদালতে প্রমাণ হতে হবে। বাংলাদেশে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে উন্নত দেশে যেসব দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে তার এক শতাংশেরও বেশি ফেরত আসার দৃষ্টান্ত কম।

যেসব দেশে পাচার হওয়া অর্থ গেছে তারাও এর দায় এড়াতে পারে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে দেশে টাকা নেয়া, বিনিয়োগ করাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অর্গানাইজড গোষ্ঠী সহায়তা করেছে। না হলে এটা হতে পারতো না।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

কিউএনবি/অনিমা/০২ ডিসেম্বর ২০২৪,/সকাল ১১:০৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit