ডেস্ক নিউজ : গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা রিয়াজ মাহমুদ আয়নাল বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র না মেনে আজমত উল্লা খান ইচ্ছে মতো কমিটি করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নন-এমন ব্যক্তিদেরও কমিটিতে আনা হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে দুর্দিনের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের। এতে দল আগামীতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি দাবি করেন, সিনিয়রদের অপমান করার জন্য এই কমিটি হয়েছে। সাধারণ আওয়ামী লীগের কর্মীরা মানতে পারছে না। ১৫ বছর দল ক্ষমতায় থাকার পরও এমন কমিটি করার কারণেই নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের ৪৩ শতাংশের ভোটের জায়গায় পড়ে ১০ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৬৩ ধারায়, কোনও সদস্য সংগঠনের একাধিক স্তরে কর্মকর্তা থাকতে না পারার বিধান থাকলেও এই কমিটিতে এমন বেশি কয়েকজনকে স্থান দেয়া হয়েছে। এমনকি! একাধিক মামলার আসামিরাও গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত পত্রে ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির (২০২২-২০২৫) অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটিতে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খানকে সভাপতি ও আতা উল্যাহ মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক রাখা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, কাজী আলিম উদ্দিন, অধ্যাপক এম এ বারী, ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, মো. আবদুর রউফসহ ৩৬ জনকে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে সম্মেলন শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে আজমত উল্ল্যাহ খান ও আতা উল্লা মণ্ডলের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে দলে ফিরিয়ে আনা হলেও দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও এবার সদস্য হিসেবেও নাম আসেনি তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাক্ষরিত পত্রে বুধবার (৩ জুলাই) ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির (২০২২-২০২৫) অনুমোদন দেয়া হয়।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ জুলাই ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:২২