ডেস্ক নিউজ : বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সমাপনী অধিবেশনের বক্তব্যে তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় বাজেট বাস্তবায়নে সব আইন প্রণেতাদের সতর্ক ও যত্নশীল হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারত সফর নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মন্তব্যের বিষয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘দেশে তো গণতন্ত্রই ছিল না। ভারতের কাছে দেশ বিক্রির সমালোচনা যারা করছেন, তাদের বলি- ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন কেন? জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা কিন্তু কেউ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি।’
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বাজারটাকে ভারতীয় পণ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে সময় ৪০টি পণ্যতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়া হয়। আশির দশকে ভারতের সঙ্গে গ্যাস বিক্রির চুক্তিও তারা করে আসে।’
‘১৯৯২ সালে খালেদা জিয়া ভারতে গিয়ে যুক্ত ইশতেহার ঘোষণা করেন। যেখানে তিনি স্বীকার করেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ভারতে যায়। এটা কিন্তু আমরা স্বীকার করিনা। ভারত তখন পুশ-ইন শুরু করলে অনেক মানুষ কষ্ট পায়।’
ছিটমহল বিনিময়ে গোটা বিশ্বের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রোলমডেল দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করলে ফেনী পর্যন্ত ভারতের দখলে যাবে বলে, বক্তব্য দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ফেনী কিন্তু ভারতের দখলে যায়নি।’পৃথিবীটা হলো গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপরে নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্য আর যোগাযোগ বন্ধ করে চলা যায় না বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে মিয়ানমারের গ্যাস অনুমোদনের বিষয় স্মরণ করিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমারের গ্যাস বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। তাহলে বাংলাদেশ সেখান থেকে গ্যাস পেতো। কিন্তু তখন অনুমোদন দেয়া হয়নি। ফলে সেই গ্যাস এখন চলে যাচ্ছে চীনে।’
কিউএনবি/আয়শা/০৩ জুলাই ২০২৪,/রাত ৯:২৮