ডেস্ক নিউজ : বনশ্রীর বাসিন্দা হুমায়ুন কবিরও একই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। সময় সংবাদকে তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা থেকেই গ্যাস ছিল না। সেহরির আগে কিছু সময়ের জন্য গ্যাস আসে। গ্যাসের চাপ কম থাকলেও রান্নার কাজ শেষ করা গেছে। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকেই গ্যাস নেই। আজও হয়তো বাইরে থেকে ইফতারি কিনে আনতে হবে।
শুধু আবদুল্লাহ আল ফাহাদ কিংবা হুমায়ুন কবির নন, গ্যাস না থাকায় বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে ইফতার ও সেহরি করেছেন রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার অধিকাংশ মানুষ। তীব্র গ্যাস সংকটে সেহরি ও ইফতারের সময় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। সাধারণত শীতকালে গ্যাসের চাপ এমনিতেই কম থাকে; কিন্তু গরমের শুরুতে গ্যাসের চাপ বাড়ার কথা থাকলেও এ মৌসুমে তেমন দেখা যাচ্ছে না।
যে কারণে বিকল্প জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। ঘরে ঘরে পাইপলাইনে বিল গুনতে হলেও কাঙ্ক্ষিত গ্যাস না পাওয়ায়, রান্নার জন্য সিলিন্ডার চুলা, বিদ্যুচ্চালিত চুলা এমনকি লাকড়ির চুলাও ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে গরমে একদিকে যেমন নাভিশ্বাস দশা, অন্যদিকে অগ্নিঝুঁকিতেও আছেন নগরবাসী। সংকট শিগগিরই কাটবে এমন কোনো আভাসও মেলেনি দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ মার্চ ২০২৪,/বিকাল ৩:৪০