ডেস্ক নিউজ : টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) এ উপলক্ষে দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভার আগে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। মূলত এই ভাষণের মাধ্যমেই তিনি এক অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর অমূল্য এই ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রামের ইতিহাস দেশে-বিদেশে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। আলোচনা সভার পরে ৭ মার্চের ভাষণের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ মার্চ ২০২৪,/বিকাল ৫:১২