শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য ঠিক কত হওয়া উচিত?

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১১০ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : সব দম্পতির জন্য বয়সের ব্যবধান আলাদাভাবে কাজ করে। অনেকের ক্ষেত্রে দুই বছরের ব্যবধান ভালো কাজ করে। আবার অনেকে ১০ বছরের ব্যবধান পছন্দ করে থাকে। 
গবেষণা থেকে জানা যায়, বয়সের তারতম্যটা সাধারণত কমই শ্রেয় মনে করা হলেও নারী ও পুরুষ উভয়েই প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের চেয়ে ১০-১৫ বছর ছোট বা বড় ব্যক্তিকে বেছে নিতে আগ্রহী। 

অনেকের ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধানে সম্পর্ক সুন্দর হয়। আবার কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসলে বিয়ের জন্য নারী-পুরুষের বয়সের ব্যবধান কত হওয়া জরুরি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

৫-৭ বছরের ব্যবধান

বয়সের এমন ব্যবধান থাকলে দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া, বিবাদ, ভুল বোঝাবুঝি কম হয়। দুজনের মধ্যে একজন যদি পরিণত বয়সের হয়। তবে সে সম্পর্ক শক্ত হাতে ধরে রাখে। বয়সের এই ব্যবধানকে বিয়ের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়। কারণ এতে একে অপরকে খুব কাছে থেকে বোঝা সম্ভব হয়।  

১০ বছরের ব্যবধান

অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের ব্যবধানকে আদর্শ মনে করা হয়, যদি দুজনের মধ্যে ভালোবাসা থাকে। যখন তারা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে নেবে, তখন এই ১০ বছরের ব্যবধান কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন বয়সের ব্যবধানে স্ত্রী স্বামীর ওপরে কোনো কথা বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়।

২০ বছরের ব্যবধান

আপাতদৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই বয়সের ব্যবধান আদর্শ নয়। যদিও অনেক বিখ্যাত দম্পতি আছেন যাদের বয়সের ব্যবধান ২০ বছরের বেশি। এই ব্যবধানে লক্ষ্য, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং মতামতের ব্যাপক পরিবর্তন হয়। সব থেকে বড় সমস্যা হতে পারে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে। বয়স্ক সঙ্গী দ্রুত সন্তান নিতে চাইবে। সে ক্ষেত্রে কম বয়সি সঙ্গী আগ্রহী হবে না। তাদের চিন্তাধারার পার্থক্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

বয়সের ব্যবধান কতটা প্রভাব ফেলে:

বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে অনেকটাই প্রভাব ফেলে। কারণ এতে মতামতের বিশাল পার্থক্য থাকে। তবে বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সাধারণত বয়সের ব্যবধান যত বেশি হয় দম্পতিরা তত বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়। এজন্য বয়সের ব্যবধান কম হলেই তাকে আদর্শ ধরা হয়।

তবে নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের বিভিন্ন মত রয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান খান বলেন, সম্পর্কের চূড়ান্ত সাফল্য আসলে সেই যুগলের সক্ষমতা এবং দুঃসময়ে একসঙ্গে থাকার, কথা রাখার ওপর নির্ভর করে।

তিনি বলেন, বয়সের বেশি পার্থক্য এমন যুগলদের চাইতে ৫-৭ বছর ফারাক আছে এমন যুগলরা সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে বেশি আসেন।
মেলবোর্নের ডিয়াকিন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সাইকোলজির অধ্যাপক ড. গেরি কারান্টজাসের মতও প্রায় একই।

গেরি বলেন, ‘জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজে যুক্ত হই। তাই যখন কোনো যুগলের মধ্যে একজন জীবনের এমন একটি লক্ষ্যকে প্রাধান্য দেন, যা অন্যজনের সঙ্গে খাপ খায় না– তখন মতপার্থক্য তৈরি হতে পারে।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য ডেইলি স্টার

কিউএনবি/অনিমা/১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/বিকাল ৪:৫৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit