বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

নির্বাচন নিয়ে গভীর, মধ্যম, নানা ধরনের চাপ ছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১০০ Time View

ডেস্ক নিউজ : রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারো চাপ অনুভব করছি না। নির্বাচন নিয়ে চাপ–গভীর চাপ, মধ্যম চাপ আরও নানা ধরনের চাপ ছিল। সব চাপ উতরে নির্বাচন হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা কখনও কারো কোনো চাপ অনুভব করি নাই।’

নির্বাচন নিয়ে সব দেশে কমবেশি প্রশ্ন থাকে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সব দেশে কমবেশি প্রশ্ন থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ভালো একটা নির্বাচন হয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন: তোমাদের দেশের চেয়ে ভালো হয়েছে? তখন তিনি বলেছেন, আমাদের দেশেও নির্বাচনের পর নানা প্রশ্ন থাকে। আপনাদের ভালো নির্বাচন হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের পর সব দেশে নানা প্রশ্ন থাকে। পরাজিত প্রার্থীর কথা বলতে গেলে বলতে হয়, নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো। আমাদের দেশে একটি ভালো ও উৎসবমুখর নির্বাচন হয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত সহিংসতামুক্ত হয়েছে এ নির্বাচন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় চ্যালেঞ্জের।’
বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতিতে অটল থাকবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “পৃথিবী বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা নীতিতে অটল আছি এবং থাকব। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ নীতি মেনেই আমরা চলব। সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই।”

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের নানা পর্যবেক্ষণ থাকে। কিন্তু দিন শেষে আমরা একসঙ্গে কাজ করি। সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সবাইকে নিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন বন্ধুদেশের কনসার্নকে আমরা মূল্য দিই।’

২০০৮ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাছান মাহমুদ। প্রথমবারই তাকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পৌনে সাত মাস দায়িত্ব পালন শেষে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয় হাছান মাহমুদকে।

পূর্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করে নতুন চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে কাজ করতে কোনো অসুবিধে নেই। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে। অর্থনৈতিক কূটনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে হবে। বাজারটাকে বাড়াতে হবে। সবার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে হবে। কাজ করতে গেলে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। তখন আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’

‘পূর্ব-পশ্চিমের সব রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। তারা সরকারের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে,’ যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কর্মীদের কর্মসংস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বাজার সম্প্রসারণ এবং দক্ষ জনশক্তি রফতানিতে গুরুত্ব দিতে হবে। দক্ষ জনশক্তি রফতানি করা থেকে রেমিটেন্স আসার বিষয়টি দেখতে হবে। বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে চ্যানেলগুলো অবারিত করা, সহজ করতে হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করতে চান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা প্রতিনিয়ত যোগাযোগের মধ্যে আছি। আমরা আশা করি কূটনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমধান হবে। আমরা কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে বিশ্বাস করি না। আমরা কূটনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করব।’

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৪ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৪:৫৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit