আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমিরাতভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়া জানায়, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ফিলিস্তিন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, আম্মানে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সাথে বৈঠককালে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘যুদ্ধে বেসামরিক লোকদের হত্যার এ পদ্ধতি আমরা প্রত্যাখ্যান করি, কারণ এটি নৈতিকতা, ধর্ম ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’
জনগণের বিরুদ্ধে এটিকে নিষ্ঠুর আগ্রাসন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে একটি মানবিক করিডোর খোলার আহ্বান জানাচ্ছি। চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তাসহ পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা বহাল রাখা জরুরি হয়ে পড়ছে। জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বলেন, ‘গাজায় চলমান সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। জর্ডান ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার জন্য জরুরিভাবে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।’
এর আগে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছিলেন, ‘দখলদার সন্ত্রাসী ও দখলকারীদের’ বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের ১৩শর বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া বহু ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। তাদের মধ্যে ৯৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছে ইসরাইলি সরকার।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ অক্টোবর ২০২৩,/দুপুর ১:১৪