ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর কলাবাগানে গৃহকর্মী হেনা হত্যার ঘটনায় গৃহকর্ত্রী সাথী আকতার পারভীন ডলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) যশোর থেকে ডলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
পুলিশ জানায়, বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলায় হেনাকে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ডলি। পরে গ্রেপ্তার এড়াতে মরদেহ ও তার মোবাইল ফোন বাসায় রেখে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার পর ডলি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছেন। তবে এই সময়ে তিনি বিভিন্ন দোকান ও ব্যক্তির ফোন থেকে তার স্বজনদের কল করতেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি আশরাফ হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ডলি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি গৃহকর্মী হেনাকে লাঠি ও খুন্তি দিয়ে পিটিয়েছেন। সেদিন ওই গৃহকর্মী তার বাচ্চার জন্য আনা খাবার খেয়ে ফেলায় এভাবে মারধর করেন তিনি। নির্যাতনের জন্য মেয়েটি মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ডলি গ্রেপ্তার এড়াতে তার মোবাইল ফোন বাসায় রেখে পালিয়ে যান। তাকে যেনো কোনোভাবে প্রযুক্তির আওতায় ধরা না যায় তার জন্য তিনি পালানোর সময়টুকুতে বিভিন্ন ব্যক্তির নম্বর থেকে স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন।
গত ২৬ আগস্ট কলাবাগান থানার সেন্ট্রাল রোডের একটি বাসা থেকে পুলিশ একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর নাম হেনা। তার বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। পিতা-মাতাহীন হেনাকে তিন বছর আগে ঢাকায় নিয়ে আসেন সাথী আক্তার। ভিকটিমের আত্মীয়স্বজনের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় কলাবাগান থানা পুলিশের সহায়তায় লাশ দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।