ডেস্ক নিউজ : এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পিটিআইসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার রাজারহাটের কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া।
তিনি বলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা রংপুর বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাছাড়াও দেশের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হতে পারে। বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নদ-নদীগুলো পানি এখনও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের বাসিন্দা ইউসুফ আলী জানান, এক কথায় মুষলধারে বৃষ্টি। এমন বৃষ্টির দেখা অনেক দিন পর পাওয়া গেল। ঘর থেকে বেড়ানোর কোনো উপায় ছিল না। বর্তমানে বৃষ্টি একটু কমে আসলেও আকাশের গতি দেখে মনে হচ্ছে আরও বৃষ্টি হবে।
এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নিচু এলাকার রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত বন্ধ ও দ্রুত পানি সরে না গেলে তলিয়ে যাওয়া ফসল ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরী এলাকার কৃষক মন্তাজ আলী জানান, টানা বৃষ্টিতে ১৫ দিন আগে লাগানো আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে লাগানো আমনের চারা নষ্ট হয়ে যাব।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, অতি বৃষ্টিতে জেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া আমন ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তেমন নেই। কারণ বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যাবে এবং এতে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১০:৫৫