বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে আরো ৪৬টি গ্যাসকুপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জ্বালানি নিরাপত্তায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শীর্ষক স্মৃতিফলক উন্মোচনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ২০৪১ সাল নাগাদ গ্রাহকের যে চাহিদা সেটি বিবেচনা করে ত্রি-মাত্রিক সিসমিক সার্ভের মধ্য দিয়ে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাসের এক নম্বর গ্যাস ক্ষেত্রে স্মৃতিফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানে আসেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। এর আগে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জালানী নিরাপত্তায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শীর্ষক স্মৃতি ফলকের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এম.পি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সুলতান, পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেইনসহ বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মৃতিফলক উন্মোচন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ‘শিল্পখাতে গ্যাসের যে চাহিদা এবং শতভাগ বিদ্যুতের যে চাহিদা রয়েছে, তা কেবল দেশীয় গ্যাসের উৎস থেকে পূরণ করা সম্ভব নয়। শিল্পখাত, বিদ্যুৎ খাত, আবাসিক খাত এবং কৃষিখাতের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে এলএনজি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, বিদ্যুতের উন্নয়নে ৬০ভাগ গ্যাসের জোগান দিয়েছে পেট্রোবাংলা। আগামী ২০৪১ সালের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে আরো দুটি অতিরিক্ত এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, বন্ধ হওয়া তিতাসের কূপসহ অন্যান্য গ্যাস ক্ষেত্রের কূপগুলো জরুরী ভিত্তিতে ওয়াকওভার করা হবে। তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রে আরো কুপ খননের পাশপাশি কুপগুলোর গভীর থেকে গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/৯ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১১:১৫